নয়াদিল্লি: পাকিস্তানে সংখ্যালঘু মেয়েদের অপহরণের পর জোর করে ধর্মান্তরণ অব্যাহত। এবার সিন্ধু প্রদেশ থেকে ২৪ বছর বয়সী এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে স্থানীয় এক মুসলিমের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে প্রকাশ্য দিনের বেলায় বিয়ের মণ্ডপ থেকে গায়ের জোরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


অপহৃতার নাম ভারতী বাঈ। তাঁর বাবা কিশোর দাসের অভিযোগ, মেয়ের বিয়ে হচ্ছিল স্থানীয় হালা শহরের এক হিন্দু যুবকের সঙ্গে। বিয়ে যখন মাঝপথে, তখন কয়েকজন জোর করে সেখানে ঢুকে পড়ে, ভারতীকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের সাহায্য করে পুলিশও। এরপর জোর করে মেয়েটির ধর্ম পরিবর্তন করে শাহরুখ গুল নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এই শাহরুখ গুলও অপহরণকারীদের মধ্যে ছিল।

করাচির জামিয়ত উলেমা ইসলামিয়া ভারতীয় ধর্ম পরিবর্তনের সার্টিফিকেট দিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর নতুন নাম রাখা হয়েছে বুশরা। ধর্ম পরিবর্তনের সাক্ষী আবুবকর সইদুর রহমান নামে জনৈক মুফতি। কাগজে বলা হয়েছে, ভারতীর স্থায়ী ঠিকানা হালা, বর্তমান ঠিকানা করাচির গুলশন ইকবাল এলাকা।

পাকিস্তানে সংখ্যালঘু তরুণীদের অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা প্রায় রোজকার ঘটনা। অভিযোগ, এর ফলে সে দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা লক্ষ্যণীয়ভাবে কমে গিয়েছে।