নয়া দিল্লি : ভেঙে পড়ে আছে কয়েকশো বাড়ি। ঠিক যেন তাসের ঘর। চারিদিকে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ে রয়েছে। চারিদিকে স্পষ্ট ধ্বংসের ছবি। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবের চিহ্ন সর্বত্র।
ঘূর্ণিঝড় লন্ডভন্ড করেছে জলপাইগুড়িকে। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আহত শতাধিক। রবিবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ আকাশ কালো করে ঝড় ওঠে। চার মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে যায় জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রাম। এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল। রবিবার রাতেই নিজেই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার উত্তরবঙ্গে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, 'ঝড়ের কারণে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মণিপুরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির জন্য আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি' । তিনি আরও লেখেন , 'নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। বিজেপির সমস্ত কার্যকর্তাদের এই সঙ্কটের সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার এবং তাদের সম্ভাব্য সবরকম সাহায্য করার আবেদন করছি।'
অন্যদিকে , রবিবারই এক্স হ্যান্ডলে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এসে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। রাজ্যের বিজেপি নেতা, কর্মীদের দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার জলপাইগুড়ি যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।