রঞ্জিত হালদার, বারুইপুর: সোনারপুরে গৃহবধূকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপহরণের অভিযোগ।বারুইপুর থেকে ‘অপহৃতকে’ উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ।সম্পর্ক থেকে বেরোতে চাওয়ায় অপহরণ, অভিযোগ মহিলার।উদ্ধার করতে গেলে গুলি চালানোর অভিযোগ।অপহরণকারীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা বলে জানা গেছে। ভর সন্ধেয় ওই গৃহবধূকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করা হয় ওই গৃহবধূকে। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকেও।
অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বছর ৩৪-এর অভিযুক্তকে। এই ঘটনা ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
অভিযোগকারিণীর দাবি, কিছুদিন আগে ফেসবুকে বারুইপুরেরই বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। বেশ কয়েকবার দেখা-সাক্ষাতও হয়। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান অভিযোগকারিনী। এমনকি বারুইপুর ছেড়ে নরেন্দ্রপুরের বাপেরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এরই মাঝে শনিবার হঠাৎই নরেন্দ্রপুরের বাড়িতে চড়াও হয় যুবক। এরপরই সন্ধেয় বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান গৃহবধূ ও তাঁর মা-বাবা। এরপর রাজপুর এলাকায় মা-বাবার সামনেই গৃহবধূকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ করা হয়।
গৃহবধূর মা-বাবা বারুইপুর থানায় বিষয়টি জানান। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ যুবকের বাড়িতে পৌঁছয়। এরপরই শুরু হয় ধস্তাধস্তি, এক রাউন্ড গুলিও চালায় অভিযুক্ত যুবক। শেষমেশ উদ্ধার করা হয় গৃহবধূকে। সূত্রের খবর, ঘটনায় ৩ পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।
অভিযোগকারিনীর দাবি, বাড়ির বাইরে যেতেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত গুলিও চালায়। শ্বশুরবাড়ির সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।
অভিযোগকারীর বাবা বলেছেন, নরেন্দ্রপুর থেকে যখন যাচ্ছিলাম, তখন এই ঘটনা ঘটে, শ্বশুর বাড়ির লোকজনও ভয় পাচ্ছিলেন, মেয়েকে তুলে নিয়ে চলে যায়। ধৃতের কাছ থেকে একটি নাইন এম এম পিস্তল ও ৪টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তকে রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।