ভাস্কর ঘোষ, বেলুড় : এবিপি আনন্দের খবরের জের। বেলুড় মঠের সামনে জিটি রোডে পড়ে থাকা তারের জঙ্গল রাতারাতি সাফ হয়ে গেল। এই ঘটনায় খুশি বেলুড় মঠের মহারাজ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবিপি আনন্দকে।


সম্প্রতি বেলুড় মঠে ঢোকার মুখে ফুটপাথে তারের জঙ্গল ঘিরে উদ্বেগ ছড়ায়। এলাকাবাসী দাবি জানান, রাস্তার উপর পড়ে থাকা তারের জন্য পথচারীরা সমস্যায় পড়ছেন। পুরসভা দায়িত্ব এড়িয়েছে বলে অভিযোগ তোলে মঠ কর্তৃপক্ষ। যদিও সেদিন পুরসভা জানায়, তারের কুণ্ডলী সরাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বাতিস্তম্ভ থেকে ঝুলতে থাকে গোছা গোছা তার। ঝুলে থাকা তার ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ফুটপাথের উপরেও। বেলুড় মঠে ঢোকার মুখে ফুটপাথে তারের এই জঙ্গল ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। কার্যত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছিল। মঠে ঢোকার মুখে তারের জঙ্গলে সমস্যায় পড়েন দর্শনার্থী ও পথচারীরাও। 


এলাকাবাসী অভিযোগ জানান, কয়েক মাস ধরে এভাবে কার্যত রাস্তা আটকে তার পড়ে থাকলেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এক বাসিন্দা বলেন, ভক্তরা এখান থেকে যায় খুব অসুবিধা হয়, আমফানের পর থেকে তার পড়ে রয়েছে। মানুষের এতে কষ্ট হয়, অনেকে পড়েও গেছে, কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। 


বিপদ কার্যত ওত পেতেছিল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পথচলতি মানুষ থেকে বেলুড়মঠে আসা ভক্তরা। আর এই আশঙ্কাতেই বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে বারংবার কড়া নেড়েও হতাশ হন বেলুড় সারদাপীঠের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ। তিনি জানিয়েছিলেন, পুরসভা সিএসসি এবং বিএসএনএল-কে দেখানো হলেও তারা তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে। কে নেবে দায়িত্ব এই নিয়ে বিভ্রান্ত তারা। উপায়ন্তর না দেখে মঠ কর্তৃপক্ষের বালি থানার দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানান তিনি।


তার পরিপ্রেক্ষিতে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেছিলেন, পুরসভার তরফে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করছি। উল্লেখ্য, সেই অনুযায়ী বেলুড় মঠের সামনে জিটি রোডে পড়ে থাকা তারের জঙ্গল সাফ হয়ে গেল।