সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার ডোমজুড়ে যুগলের রহস্যমৃত্যু। চাষের জমি থেকে উদ্ধার জোড়া মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।


চাষের জমিতে পড়ে যুগলের মৃতদেহ। দু’জনের শরীরেই একাধিক ক্ষতচিহ্ন। হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকার নারনায় উদ্ধার হওয়া জোড়া মৃতদেহ ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।


কীভাবে মৃত্যু হল এই যুগলের? দুর্ঘটনা না কি খুন? অস্বাভাবিক মত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে ডোমজুড় থানা।


পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হুগলির আরামবাগ থানা এলাকার বৃন্দাবনপুরের বাসিন্দা। মৃত ২৮ বছরের তরুণ একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। মৃত ১৬ বছরের কিশোরী নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। কিশোরীর পরিবারের দাবি, ২৬ জানুয়ারি দু’জনে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে তাঁরা বিয়ে করে। আরামবাগ থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি ও পরে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়।


মঙ্গলবার ডোমজুড়ে উদ্ধার হয় জোড়া মৃতদেহ। আর এই ঘটনায় কিশোরীর পরিবারকে কাঠগড়ায় তুলেছে তরুণের আত্মীয় থেকে প্রতিবেশীরা। মৃত তরুণের পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে।  মৃত তরুণের আত্মীয় বলেন, এটা খুন হয়েছে, কারণ মেয়ের বাড়ির তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মৃত তরুণের প্রতিবেশীর কথায়, আমার সামনেই মেয়ের বাড়ির লোকজন ছেলের বাড়ির লোককে হুমকি দিয়েছে। মেয়ের বাড়ির লোকই খুন করেছে।


যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ মৃত কিশোরীর পরিবার। মৃত কিশোরীর আত্মীয় আমরাও ভেবেছিলাম পালিয়ে গিয়েছে। সম্পর্ক তো মেনে নিতাম। ময়নাতদন্ত না হলে বুঝতে পারছি না খুন করা হয়েছে কি না। ডোমজুড় থানার পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়ি থেকে পালিয়ে ডোমজুড়ে এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন দম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর,  ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।


বন্ধুর বাড়ির পাশে চাষের খেতে লাগানো ছিল বিদ্যুতের তার। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত তরুণের মা ও বন্ধুর পরিবারের ৪ জনকে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।