কহো না পেয়ার হ্যায়-এর হাত ধরে বলিউডে উল্কার মত আবির্ভূত হন এক দীর্ঘাঙ্গ, নীল চোখের যুবক। যেমন নাচতে পারতেন তিনি, তেমন অভিনয়। সুপার ডুপার হিট হয় তাঁর ছবি, মানুষ উন্মাদ হয়ে ওঠেন তাঁকে নিয়ে। তাঁকে এক ঝলক চোখের দেখা দেখতে লোকে পাগল হয়ে যেত। সে সময় বাড়িতে টানা ফোন আসত, যেখানেই হৃতিক যেতেন, ভিড় ঘিরে ধরত তাঁকে। কিন্তু সেই খ্যাতি সামলাতে সময় লেগেছিল হৃতিকের। রাকেশ জানিয়েছেন, ছবি মুক্তির মাস তিন-চার পর তিনি একদিন দেখেন, হৃতিক নিজের ঘরে বসে কাঁদছেন। বলছিলেন, আমি সামলাতে পারছি না, আমি কাজ করতে পারব না, শ্যুটিং করতে যাব না। বাস ভর্তি ছেলে মেয়েরা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছে। শেখার কোনও সুযোগ পাচ্ছি না, অভিনয় করতে পারছি না, কাজে মন দিতে পারছি না। সবাই আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়।
রাকেশ তখন হৃতিককে বলেন, এমনটা যদি না ঘটত, তাহলে কী করতে। এটা আশীর্বাদ হিসেবে দেখা উচিত তোমার, এর সঙ্গে মানিয়ে নাও, কাজ কর। একে বোঝা হিসেবে নিও না। তিনি তখন বিষয়টা বোঝেন।