কলকাতা: পরীক্ষাটা পুরো হলে আরও আনন্দিত হতাম, শীর্ষ স্থানে থেকেও গলায় আক্ষেপ শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী স্রোতশ্রী রায়ের। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯। অঙ্ক, ফিজিক্স, স্ট্যাটিসটিকস, কেমিস্ট্রিতে ১০০য় ১০০। ইংলিশে ৯৯। বাংলায় ৯২। ফিজিক্স, স্ট্যাটিসটিকস, কেমিস্ট্রি পরীক্ষা হয়নি করোনা পরিস্থিতিতে।
সাফল্যের কারণ হিসেবে বেশিক্ষণ পড়া, খুঁটিয়ে পড়াশুনা, এই ধরনের উত্তর তো সবার কাছ থেকেই আসে।
স্রোতশ্রীও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে সকলকে চমকে দিয়ে শীর্ষস্থানাধিকারী এই ছাত্রী জানালেন, টেস্টের আগে অবধি মোবাইলে খুবই ব্যস্ত থাকতেন স্রোতশ্রী। কোনও কোনও সময় দিনে ১২ ঘণ্টাও। এতক্ষণ মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে নেওয়ার ফল ভুগতে হয়েছিল মেধাবী মেয়েকেও। টেস্ট পরীক্ষার নম্বর আসে মাত্র ৮০ শতাংশ। খুবই মন খারাপ হয়ে যায় স্রোতশ্রীর।
এরপর স্কুল ও গৃহশিক্ষকদের পরামর্শে মোবাইলকে জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দেন তিনি। এরপর শুধুই পড়া, পড়া আর পড়া। দিনে ৬-৭ ঘণ্টার পড়াশুনা আর সেগুলোই বারবার মনে করাই ভাল রেজাল্টের মন্ত্র।
কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান স্রোতশ্রী। বিদেশে পড়াশুনা করতে যাওয়ার ইচ্ছে আছে কি? তাঁর উত্তর, মা-বাবার একমাত্র সন্তান তো, বয়স হয়েছে অভিভাবকদের, তাই বিদেশ যাওয়া নিয়ে কুণ্ঠা আছে।
এর আগে অন্য স্কুলে পড়তেন তিনি। যখন শাখাওয়াতে একাদশে ভর্তি হলেন, তখন প্রায় পেরিয়ে গেছে একমাস। পড়াও হয়ে গেছে অনেকটাই। সেই সমস্যাটাও পেরিয়ে আসা স্রোতশ্রীর কাছে ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI