শুভ্রা বসু মণ্ডল (যাদবপুর বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা), কলকাতা: দরজায় কড়া নাড়ছে উচ্চমাধ্যমিক। পরশু শুরু হচ্ছে পরীক্ষা, আর প্রথম দিনই বাংলা। হাতে সময় বলতে ২৪ ঘণ্টা। পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেতে প্রথমেই দরকার টেক্সট বইটা খুব ভালভাবে পড়া। সঠিক উত্তর নির্বাচন আর অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-তে ৩০ নম্বর থাকে, তাই গল্প, কবিতা ভাল করে পড়া না থাকলে উত্তর দেওয়া কঠিন।


আন্তর্জাতিক কবিতা বিভাগ থেকে লাইন তুলে প্রশ্ন আসতে পারে, তাই কবিতা পুঙ্খানুপুঙ্খ পড়া অত্যন্ত জরুরি। বেশিরভাগ পড়ুয়াদেরই ভাল করে পড়া হয় না বাংলা সাহিত্য ও ভাষার ইতিহাস। ইতিহাসই হোক বা ব্যাকরণ- ভেতরটা ভাল করে খুঁটিয়ে পড়তে হবে।



আর লেখায় যেটা সব থেকে বেশি দরকার, তা হল পরিমিতিবোধ। সাহিত্যের ক্ষেত্রে মনের ভাব শব্দে বাঁধা যায় না ঠিকই কিন্তু প্রশ্নে কী চাওয়া হচ্ছে, তা ঠিকমত বুঝে উত্তর লেখা জরুরি। যেটুকু চাওয়া হয়েছে ঠিক ততটুকুই। প্রাসঙ্গিক হলে প্রেক্ষাপট বা অন্য কিছু উত্তরে দেওয়া যেতে পারে, তবে অকারণ বেশি লেখা যেন না হয়। পরীক্ষকদের যেন উত্তরপত্র হাতড়ে প্রশ্নের আসল উত্তরটুকু খুঁজতে না হয়, প্রয়োজন যথাযথ সংহত পরিমিত লেখা। ৫ নম্বরের প্রশ্নে ছোট ছোট নম্বর ভেঙে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকলে সেগুলি লেখা যেতে পারে। ঠিকমত প্রশ্ন নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। ঘুরিয়ে দেওয়া প্রশ্ন বুঝে উত্তর লিখতে হবে, বুঝে নিতে হবে, কোন প্রশ্নের উত্তর কীভাবে লিখলে ভাল হয়।

দ্বাদশ শ্রেণি থেকে শুরু হয় প্রবন্ধপাঠ, এতে ১০ নম্বর থাকে। এ ক্ষেত্রে ভাল করে প্রস্তুতি প্রয়োজন। লেখায় গুরুচণ্ডালী দোষ যাতে না হয় দেখতে হবে, একই নম্বরের প্রশ্নে আলাদা আলাদা উত্তর চাইলে তা দিতে হবে অনুচ্ছেদ ভেঙে ভেঙে। সঠিক উত্তর নির্বাচনে যেহেতু বক্স থাকে, তাই ভেবে উত্তর দেওয়া উচিত, যাতে ভুল হলে আলাদা করে আর লিখতে না হয়।

Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI