নয়াদিল্লি: রাতভর খোলা আকাশের নিচে ধরনায় বসে থাকা ৮ সাসপেন্ড রাজ্যসভা সাংসদের প্রতি সহানুভূতি, সমবেদনা জানিয়ে সাতসকালে তাঁদের জন্য চা নিয়ে অবস্থানস্থলে চলে যাওয়ায় সভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশের প্রশংসায় সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৃষি বিল নিয়ে সংসদে গতকাল নজিরবিহীন হাঙ্গামার পর তৃণমূল, সিপিএম সহ বিরোধী শিবিরের সদস্যদের সাসপেন্ড করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে নিজে হাতে চা নিয়ে গেলেও তাঁকে ফিরিয়ে দেন বিক্ষোভরত সাসপেন্ড এমপিরা। এতে তিনি ব্যথিত বলে জানিয়েছেন হরিবংশ। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বদান্যতার প্রশংসা করে ট্যুইট করেন, দিনকয়েক আগে যাঁরা তাঁকে আক্রমণ, অপমান করলেন, এবং যাঁরা ধরনায় বসেছেন, তাঁদেরই নিজে হাতে চা খাওয়াতে গিয়ে হরিবংশজি দেখালেন, তিনি কতটা বিনয়ী মন, বড় হৃদয়ের মালিক। ওঁরা মহানতা প্রকাশ পেল। ভারতবাসীর সঙ্গে আমিও হরিবংশজিকে অভিনন্দন জানাই। প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, শতকের পর শতক বিহারের পবিত্র ভূমি আমাদের গণতন্ত্রের মূল্যবোধ শিখিয়েছে। সেই চমত্কার ঐতিহ্যের সূত্র ধরেই বিহারের সাংসদ ও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারপার্সন শ্রী হরিবংশজির আজ সকালের ভদ্রজনোচিত, অনুপ্রেরণাদায়ী আচরণে প্রতিটি গণতন্ত্রপ্রেমী গর্ববোধ করবেন।


সঠিক ফর্ম্যাট ছিল না, ১৪ দিনের নোটিসও দেওয়া হয়নি, এই যুক্তিতে হরিবংশের বিরুদ্ধে আনা একটি অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু। যে কায়দায় দুটি কৃষি বিল পাশ করানো হয়, তার বিরোধিতা করে রবিবার সভার ওয়েলে নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। তাঁদের ভোটাভুটির দাবি খারিজ হওয়ায় তাঁরা কাগজপত্র ছেঁড়েন, স্লোগান দেন, হরিবংশের দিকে রুল বুক ছুঁড়ে মারেন বলে অভিযোগ। তারপরই রাজীব সাতব, সৈয়দ নাসির হুসেন, রিপুন বোরা (কংগ্রেস), দোলা সেন, ডেরেক ওব্রায়েন (তৃণমূল), কে কে রাগেশ, এলামারাম করিম(সিপিএম) ও আপের সঞ্জয় সিংহ-এই ৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়। বিরোধীদের আচরণের নিন্দা করে বেঙ্কাইয়া বলেন, হরিবংশ পরে তাঁকে জানিয়েছেন যে, তাঁর সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে, এমনকি তাঁর ওপর শারীরিক হামলাও হতে পারত। তবে ৮ সাংসদের সাসপেনশনের বিরোধিতায় বিরোধীরা সংসদ চত্বরে ‘অনির্দিষ্টকালের’ অবস্থানে বলেন, যদিও আজই তা তুলে নেওয়া হয়।