কাঁথি: "ওনার প্রচারে আমি গিয়েছি, আমার প্রচারে ওনাকে প্রয়োজন হয়নি, নীতির কথা সৌগত রায়ের মুখে মানায় না"। কাঁথির রোড শো থেকে কড়া ভাষায় সৌগত রায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।


এদিন এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সদ্য বিজেপি যোগদানকারী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিজেপি এখানে যথেষ্ট শক্তিশালী। যারা শিশির অধিকারীর ছেলে বলে জিতেছি বলেছেন, তাঁদের নীতি নৈতিকতা নেই। নীতির কথা সৌগত রায়ের মুখে মানায় না। ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে রিগিং করে জিতেছেন। ইন্দিরা গাঁধীর প্রতীক নিয়ে জিতেছিলেন। ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কলকাতা কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। আর তিনি নীতির কথা বলবেন না।


এখানে থেমে থাকেননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, "বনগাঁয় উপনির্বাচনে ওনার প্রচারে আমি গিয়েছি, আমার প্রচারে ওনাকে প্রয়োজন হয়নি। তবে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। অভিষেক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ঘরের ভিতরের কোনও কথা বলব না। ঘরের কথা উনি বলতে পারেন আমি না। অনৈতিক কাজ আমি করতে পারব না। ব্রাত্য বসুর বিষয়ে কী বলেছেন সেটাও আমি বলব না। যেদিন গণনা হবে সেদিন উনি আমার বাড়িতে এসে খাবেন। পাল্ট সৌগত রায় বলেন, "বিজেপিতে গিয়ে জমি হারিয়েছে শুভেন্দু, ওঁর ঔদ্ধত্যে মানুষ বিরক্ত"।


উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর কাঁথিতে তৃণমূলের সভা। সেই মঞ্চ থেকেই ফের শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, কাঁথি কারও জমিদারি নয়। কাঁথির এক সুপুত্রের নাম লেখা থাকবে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে। সিরাজ হেরে গেছিলেন। মানুষ মনে রেখেছে শেষ নবাব হিসেবে। মীরজাফরকে ঘৃণা করে। লোকে ছেলের নাম রাখে সিরাজ। মীরজাফর রাখে না। শুভেন্দু বিশ্বাসঘাতকের দলে নাম লেখালেন। এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু।