আজ বিধানসভায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে শপথ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বলেছি, এনসিপির সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি। ওরা কি আমায় বহিষ্কার করেছে? আপনারা কোথাও তেমন কিছু শুনেছেন বা পড়েছেন? আমি এখনও এনসিপিতেই আছি। দল যে সিদ্ধান্তই নিক, তা মেনে চলব।
পরে তিনি ট্যুইটও করেন, এনসিপির নির্বাচিত বিধানসভা সদস্য হিসাবে, আজ বিধানসভায় শপথ নিলাম। আমাদের সংবিধান সম্মান করার, তাতে আস্থা রাখার, নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য দক্ষতার সঙ্গে পালনের পাশাপাশি আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও ঐক্য বজায় রাখার শপথ নিয়েছি। বিজেপির সঙ্গে সাময়িক হাত মেলানোকে বিদ্রোহ বলা যায় না বলেও সাফাই দেন তিনি। যদিও অজিতকে এনসিপি পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরানো হয়েছে, তাঁর দলীয় সদস্যপদ বাতিল করা হয়নি। আজ নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অজিতকে জড়িয়ে ধরে দলে স্বাগত জানান শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। এনসিপি বিধায়করাও টেবিল চাপড়ে অজিতকে অভিনন্দন জানান।
সরকার গঠন নিয়ে একটানা কয়েকদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা, অপ্রত্যাশিত ঘাত-প্রতিঘাত শেষে বুধবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে শপথ নেন নির্বাচিত বিধায়করা। রাজভবনে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার কালিদাস কোলম্বকার।
যাবতীয় রাজনৈতিক অঙ্ক উল্টে দিয়ে নাটকীয় টানাপড়েনের মধ্যে শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার তিনদিনের মাথায় মঙ্গলবার ইস্তফা দেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান অজিত পওয়ারও। কাল সন্ধ্যায়ই রাজ্যপাল ভগত্ সিংহ কোশিয়ারির কাছে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি পেশ করে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। ঘোষণা হয়, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।