আজ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় নিজের ভাষণে এই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও মন্তব্য করেন, কেউ মরার বাসনা নিয়ে এলে, কী করে বাঁচবে? (অগর কোই মরনে কে লিয়ে আ হি রহা হ্যায়, তো ও জিন্দা কাহা সে হো জায়েগা)!
বিতর্কিত সিএএ কে কেন্দ্র করে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে অশান্তি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে, প্রাণহানিও গোটা দেশে সর্বোচ্চ সেখানে। ২২ জন, অধিকাংশই আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া বুলেটে জখম হয়ে। এ ব্যাপারে পুলিশের দিকে আঙুল উঠলেও আদিত্যনাথের দাবি,পুলিশের প্রশংসা করা উচিত। কেউ মরতে এলে কী করে বাঁচবে। কেউ একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে খতম করতে এলে পুলিশ তাকে চ্যালেঞ্জ করবে। হয় তাকে বা সেই পুলিশকর্মীকে মরতে হবে। কেউ পুলিশের বুলেটে মরেনি। সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদের পিছনে বড় চক্রান্ত উদ্ঘাটিত হয়েছে।
রাজ্য়ের বিরোধীদের দাবি, সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া সব মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাই। সমাজবাদী পার্টির অভিযোগ, পুলিশ ও বিজেপির লোকজনের গুলিতেই মৃত্যুগুলি হয়েছে। প্রতিবাদ, বিক্ষোভের সময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাধিক মহল।
এই প্রেক্ষাপটেই বিধানসভায় মুখ খুলে গেরুয়া বসনধারী মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজাদির স্লোগান উঠছে। কীসের আজাদি? আমরা মহম্মদ আলি জিন্নাহ না মহাত্মা গাঁধী, কার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে চলব? ডিসেম্বরের হিংসার পর পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা হওয়া উচিত। রাজ্যে কোনও দাঙ্গা হয়নি।
সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদ অব্যাহত রাখা লোকজনকেও নিশানা করেন আদিত্যনাথ। তাঁর সরকার প্রতিবাদীদের বিপক্ষে নয়,তবে যারা হিংসায় মদত দেবে, তাদের কঠোর হাতে মোকাবিলা করবে বলে জানান তিনি। বলেন, যারা আইন বানচাল করার চেষ্টা করে, তাদের দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। সবসময় বলেছি, যে কোনও গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ সমর্থন করব। কিন্তু কেউ গণতন্ত্রের আড়ালে থেকে পরিবেশ দূষিত করে, হিংসা হয়, আমরা ওদের ভাষাতেই তার জবাব দেব।