কলকাতা : দেবাঞ্জন দেবকে তাদের কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। এমনই দাবি করল আইএমএ। বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএ-র বাংলা শাখা জানিয়েছে, সংস্থার দুটি অনুষ্ঠানে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতারককে দেখা গিয়েছিল। একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন তৎকালীন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যেখানে নিজেকে সমাজকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন দেবাঞ্জন। অপর অনুষ্ঠানে ছিলেন শান্তনু সেন। কিন্তু, সেখানে তাঁকে কেউ আইএএস অফিসার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেননি।
দেবাঞ্জনের উদ্দেশ্য ছিল, আইএমএকে সামাজিক কাজকর্মে সাহায্য করার অছিলায় ছবি তুলে প্রভাব বিস্তার করে। তাদের নাম ব্যবহার করে দেবাঞ্জন দেব প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের। তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে এফআইআরও করেছে চিকিৎসকদের এই সংগঠন।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। বিভিন্ন পরিচয়ে সুবিধা আদায়ে কার্যত সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছিলেন দেবাঞ্জন। অন্তত বিভিন্ন মহল থেকে সেরকমই অভিযোগ উঠছে। IAS পরিচয়ে ২০২০ থেকে কসবার রাজডাঙার একটি মাল্টিজিমে যেতেন দেবাঞ্জন দেব। অভিযোগ, জিমের সামনে নীল বাতি লাগানো গাড়ি দাঁড় করিয়ে সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে জিমে ঢুকতেন দেবাঞ্জন। এনিয়ে একাধিকবার আপত্তি জানান জিমের অন্য সদস্যরা। দেবাঞ্জন IAS পরিচয় দিয়ে সকলকে চুপ করিয়ে রাখতেন।
অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার জাল হলোগ্রাম তৈরি করিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। ৯ নম্বর ইন্ডিয়া এক্সচেঞ্জ প্লেসে লেজার হলোগ্রাম নামে একটি সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয় হলোগ্রাম। ব্যবসায়ী নির্মল পুগালিয়ার দাবি, ২০২০-তে কলকাতা পুরসভার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে পারচেজ অর্ডার দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৩ হাজার পিস হলোগ্রাম নেন দেবাঞ্জন। চেকের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয় বলে ব্যবসায়ীর দাবি। ওই ব্যবসায়ীকে লালবাজারে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। কীভাবে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেবাঞ্জনের যোগাযোগ হল তা জানতে চাওয়া হয়। ব্যবসায়ীর দাবি, পারচেজ অর্ডার ভুয়ো তা টেরই পাননি তিনি।
এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ২টি কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছেন স্বাস্থ্য সচিব।