নয়া দিল্লি: বছর ঘুরলেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কী ফলাফল হতে পারে? কারা ক্ষমতায় ফিরতে পারে? কারা ক্ষমতা হারাতে পারে? কী ভাবছেন ভোটাররা? তার আঁচ পেতে সমীক্ষা চালিয়েছে এবিপি সি ভোটার (ABP-CVoter Survey)। 


দেশের নিরিখে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। তিন বছর বাকি থাকলেও, বিজেপি এবং বিরোধীদের চাপানউতোরে রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে এখন থেকেই। এই প্রেক্ষাপটে পাঁচ রাজ্যের ভোটাররা কী ভাবছেন? এবার কোন রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারে কারা? 


তার আভাস পেতেই সমীক্ষা চালিয়েছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। রাজনীতির অলিন্দে একটা কথা প্রচলিত আছে, দিল্লির রাস্তা যায় উত্তরপ্রদেশ হয়ে। কারণ, এই রাজ্যেই রয়েছে সবথেকে বেশি বিধানসভা আসন। ৪০৩টি। ম্যাজিক ফিগার ২০২। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ২৪১ থেকে ২৪৯টি আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি। 


তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার হতে পারে ৪১ শতাংশ। ১৩০ থেকে ১৩৮টি আসন এবং ৩২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারে অখিলেশের সমাজবাদী। মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি পেতে পারে ১৫ থেকে ১৯টি আসন। তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার হতে পারে ১৫ শতাংশ। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩ থেকে ৭টি আসন। তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার হতে পারে ৬ শতাংশ। অন্যরা সর্বোচ্চ ৪টি আসন পেতে পারে। তাদের ঝুলিতে যেতে পারে ৬ শতাংশ ভোট।


ভোটমুখী আরেক রাজ্য পঞ্জাবে, কংগ্রেসের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয়েছে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংকে। যার পর কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন ক্যাপ্টেন। এসবের প্রভাব কি ভোটে পড়বে? পঞ্জাব বিধানসভায় মোট আসন ১১৭টি। ম্যাজিক ফিগার ৫৯। এই রাজ্যে ভোটের ফলাফল কী হতে পারে? সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৪৯ থেকে ৫৫টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসতে পারে আম আদমি পার্টি। তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার হতে পারে ৩৬ শতাংশ। কংগ্রেস পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৭টি আসন। তাদের ঝুলিতে যেতে পারে ৩২ শতাংশ ভোট। শিরোমণি অকালি দল ১৭ থেকে ২৫টি আসন এবং ২৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে। বিজেপি পেতে পারে সর্বোচ্চ একটি আসন এবং ৪ শতাংশ ভোট। অন্যান্য দল সর্বোচ্চ একটি আসন এবং ৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে।


ভোট রয়েছে উত্তরাখণ্ডেও। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ডে ৪২ থেকে ৪৬টি আসন এবং ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি। কংগ্রেস পেতে পারে ২১ থেকে ২৫টি আসন এবং ৩৪ শতাংশ ভোট। আম আদমি পার্টির ঝুলিতে সর্বোচ্চ চারটি আসন এবং ১৫ শতাংশ ভোট যেতে পারে। অন্যান্য পেতে পারে সর্বোচ্চ ২টি আসন। তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার হতে পারে ৬ শতাংশ। 


সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, গোয়াতেও ২৪ থেকে ২৮টি আসন এবং ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি। কংগ্রেস পেতে পারে ১ থেকে ৫টি আসন এবং ১৮ শতাংশ ভোট। আম আদমি পার্টি পেতে পারে ৩ থেকে ৭টি আসন এবং ২৩ শতাংশ ভোট। অন্যান্যর ঝুলিতে যেতে পারে ৪ থেকে ৮টি আসন এবং ২১ শতাংশ ভোট। 


আগামী বছর ভোট রয়েছে মণিপুরেও। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, মণিপুরে ২৬ থেকে ৩০টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসতে পারে বিজেপি। তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার হতে পারে ৩৬ শতাংশ। কংগ্রেস পেতে পারে ২১ থেকে ২৫টি আসন এবং ৩৫ শতাংশ ভোট। নাগা পিপলস ফ্রন্ট বা NPF পেতে পারে ৪ থেকে ৮টি আসন এবং ৯ শতাংশ ভোট। অন্যান্যর ঝুলিতে ১ থেকে ৫টি আসন এবং ২০ শতাংশ ভোট পেতে পারে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে পাঁচ রাজ্যের ৯৮ হাজারের বেশি ভোটারের সঙ্গে কথা বলে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে CATI পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস তিন শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশ।