কাবুল: আফগানিস্তানের একাধিক শহর দখলের পথে তালিবানরা। ইতিমধ্যেই তিনটি এলাকা দখলের পথে এগিয়েছে তাঁরা। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাত এবং রাজধানী কাবুল দখল করতে অগ্রসর হয়েছে তালিবানিরা। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ভারতীয় নাগরিক এবং বিশেষত ভারতীয় সাংবাদিকদের জন্য নিরাপত্তা পরামর্শ জারি করেছে কেন্দ্র।


কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে দেখা গিয়েছে তাঁরা দূতাবাসের নিরাপত্তা পরামর্শের প্রতি কর্ণপাত করছেন না এবং "নিজেদেরকে মারাত্মক বিপদে ফেলেছেন"। একটি সাম্প্রতিক ঘটনা যা সরকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন নয় এমন একটি এলাকায় একটি বাঁধ প্রকল্পের স্থানে থাকা সুরক্ষাবাহিনী জানিয়েছে দূতাবাসের পরামর্শ মানছে না ভারতীয় নাগরিকরা এবং নিজেদের বিপদে ফেলছেন। 


এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা পরামর্শের পদক্ষেপগুলি "সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার" জন্য আহ্বান জানিয়েছে দূতাবাস। সাফ জানান হয়েছে, 'আফগানিস্তানে ভারতীয় সাংবাদিকরা অতিরিক্ত ঝুঁকি রয়েছে। রিপোর্টিংয়ের জন্য আফগানিস্তানে আগত ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখছে। দূতাবাস তাঁদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। '


প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে রিপোর্টিং অ্যাসাইনমেন্ট চলাকালীন গত মাসে তালিবানদের হাতে নিহত হওয়া রয়টার্সের ভারতীয় ফটোসাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির (তার নাম উল্লেখ না করে) মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে দূতাবাস উপদেষ্টা বলেন, "একটি সাম্প্রতিক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার পর ভারতীয় সাংবাদিকদের পাবলিক প্রোফাইল আফগানিস্তানে ঝুঁকিতে রয়েছে।" সম্ভব হলে আফগানিস্তানে কভারেজ বন্ধের কথাও জানান হয়েছে। 


আফগানিস্তানে থাকা সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের ফের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে তাঁরা যেন দূতাবাসে গিয়ে https://eoi.gov.in/kabul- এ অথবা paw.kabul@mea.gov.in এ ইমেলের মাধ্যমে নিজেদের রেজিস্টার করিয়ে রাখেন। 


এদিকে , পতন ঠেকাতে এ বার তালিবানকে ক্ষমতার ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সরকার। সে দেশের সরকারের একটি সূত্রে এই খবর মিলেছে। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই গুরুত্বপূর্ণ গজনী শহরের দখল নিয়েছে  তালিবান। শহরের পরিত্যক্ত সেনা ঘাঁটির ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।