জলপাইগুড়ি: আরএসএস ও এমআইএমআইএমকে ঠেকাতে ‘জয় বাংলা যুব বাহিনী’ গড়ছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা কমিটি। যুব সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকায় এলাকায় ঘুরে নজরদারি চালাবেন বাহিনীর সদস্যরা। যদিও সন্ত্রাস তৈরি করতেই এই চাল বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়িতে সংগঠন বাড়াচ্ছে আরএসএস। প্রভাব বিস্তার করছে আসাদউদ্দিন ওয়েসির দলও! এই অবস্থায় তাদের মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে জয় বাংলা যুব বাহিনী খুলছে তৃণমূলের যুব সংগঠন। সম্প্রতি বৈঠকে বসে এর রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা কমিটি।
শাসক দলের যুব সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বুথওয়াড়ি ২০ জনের একটি দল তৈরি হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে বাহিনি গঠনের কাজ। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি শাখার জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের ঘোষণা, আরএসএস এবং মিমকে ঠেকাতে বাহিনি তৈরি হচ্ছে, যারা নজরদারি চালাবে ও অশান্তি পাকানো, সাম্প্রদায়িক তত্পরতা, কাজকর্ম দেখলেই প্রশাসনকে জানাবে। সোমবার নবান্নে স্বরাষ্ট্র দফতরের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নাম না করে ওয়েইসির সংগঠন সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেন, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদের প্রকাশ্য সভা থেকেও নাম না করে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের যুব সংগঠনের বাহিনি গঠনের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিজেপি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, এবার বাহিনীর নামে এলাকায় এলাকায় ঘুরে ভয় দেখানো হবে, অনৈতিক কাজ চলবে। তাঁর প্রশ্ন, পুলিশ আছে, তাহলে বাহিনী দেখবে কেন? সেইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, আমরা কাউকে ভয় পাই না, মানুষ জবাব দেবে, সন্ত্রাস চালাতে বাহিনী তৈরি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে তৃণমূলের থেকে জলপাইগুড়ি আসনটি ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। সূত্রের খবর, তারপর থেকেই জেলায় প্রভাব বাড়ছে আরএসএসের। হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠনের পাশাপাশি এআইএমআইএমকে ঠেকাতে কতটা সফল হয় তৃণমূলের যুব সংগঠনের নতুন বাহিনি, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।