৭৪ বছরের এই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন যে, স্ত্রী তাঁর সব চেয়ে ভাল বন্ধু ছিলেন৷ ৪৮ বছরের দীর্ঘ সাংসারিক জীবনে তাঁর পাশে থেকে সমর্থন জুগিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী৷ স্ত্রীর মৃত্যুর পর বড্ড একা হয়ে গিয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী।তাই এই মূর্তি।
২৫ দিনের চেষ্টায় মাদুরাইয়ের এক শিল্পী ফাইবারের এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন৷ সেতুরমনের দাবি ফাইবারের মূর্তি বাড়ির ভিতরে রাখলে নষ্ট হবে না৷ সেতুরমন জানিয়েছেন কঠিন সময়ে স্ত্রী তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন৷ স্ত্রীর মৃত্যু তাঁকে এক বিরাট শূন্যতার মধ্যে ফেলে দেন। তাই স্ত্রীর মূর্তি বানিয়ে বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এমনভাবে মূর্তিটি বসানো হয়েছে যে ঘরের দরজা খুললেই তা চোখে পড়বে।
তিনি জানিয়েছেন যে ‘দরজা খুললেই স্ত্রীর মূর্তিটি দেখতে পাব৷ তাতে মনে হবে, আগের মতোই আমার স্ত্রীর আমাকে দরজা খুলেদিচ্ছেন৷’ পেশায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী সেতুরমনের তিন মেয়ে। তাদের প্রত্যেকেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ ফলে বাড়িতে স্ত্রীর মূর্তি এবং স্মৃতিকে সঙ্গী করেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান তিনি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কর্ণাটকের এক ব্যবসায়ীও নিজের মৃত স্ত্রীর মূর্তি বসিয়েছিলেন বাড়িতে৷ সেই ঘটনার কথা জানার পরই নিজের স্ত্রীরও মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নেন সেতুরমন৷