ইসলামাবাদ: কাশ্মীর নিয়ে হামেশাই ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। এবার উত্তরপূর্ব দিল্লির হিংসা নিয়েও ভারতকে খোঁচা দিলেন ইমরান খান। ভারত সরকারকে দেশের ‘২০ কোটি মুসলিম’কে টার্গেট করার অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজকের ভারতে আমরা দেখছি, ১০০ কোটির বেশি মানুষের দেশে নাত্সি-বাহিনী অনুপ্রাণিত আরএসএসের দর্শন পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী রাষ্ট্রকে দখল করে ফেলেছে। যখনই ঘৃণার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বর্ণবৈষম্যবাদী দর্শন মাথাচাড়া দেয়, তা থেকে রক্তপাত হয়। তাঁর দেশে ‘সংখ্যালঘুরা সমান নাগরিকে’র সম্মান পায় বলেও মন্তব্য করেন ইমরান।

ফের গত আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পদক্ষেপের প্রসঙ্গ তুলে ইমরান বলেন, গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম। ফের বোতল থেকে দৈত্য বেরিয়ে পড়লে রক্তপাত আরও খারাপ দিকে মোড় নেবে। কাশ্মীর দিয়ে শুরু। এখন ভারতের ২০ কোটি মুসলিমকে নিশানা করা হচ্ছে। বিশ্ব সম্প্রদায় এখনই কিছু করুক।


সেইসঙ্গে ইমরান হুঁশিয়ারি দেন, পাকিস্তানে কেউ আমাদের অ-মুসলিমদের বা তাঁদের ধর্মস্থান টার্গেট করলে কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে। আমাদের সংখ্যালঘুরা দেশে সমান মর্যাদা পান।
প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগে পরস্পরকে টার্গেট করে পাকিস্তান, ভারত উভয়েই। কিছুদিন আগে পাকিস্তানে এক গুরুদ্বারে মারমুখী জনতার হামলার পরদিন শিখ সম্প্রদায়ের একজনকে টার্গেট করে খুন করার অভিযোগে ভারত যেমন সরব হয়েছে, তেমনই পাকিস্তানও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতকে আক্রমণ করছে। ভারত বলেছে, পাকিস্তান নিজের ভূখণ্ডে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন রুখে তাদের রক্ষা করুক। আর ইমরান ২০১৪র ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে পালিয়ে ভারতে আসা অ-মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইনের বিরোধিতা করেছেন। কেন ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কেন্দ্রশাসিত এলাকায় দুটুকরো করল, প্রশ্ন তুলে নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।