নয়াদিল্লি: বিবিসি-র দিল্লি ও মুম্বই অফিসে একযোগে আয়কর হানা (Income Tax Raid in BBC's Office)। আয়কর সমীক্ষার কাজ চলছে, জানাচ্ছে আয়কর দফতর, খবর এএনআই সূত্রে (ANI)। দফতরে মজুত কর্মচারীদের ফোন বাজেয়াপ্ত করে তল্লাশি। বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর, ১০ থেকে ১২ জনের দল এই অভিযান চালাচ্ছে। সকাল ১১ নাগাদ বিবিসি-র দুটি অফিসে আয়কর আধিকারিকদের তল্লাশি শুরু হয় বলে খবর।  










অঘোষিত জরুরি অবস্থা, প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের


বিবিসি দিল্লি ও মুম্বইয়ে একযোগে আয়কর হানার জেরে ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। আয়কর হানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস। এটা অঘোষিত জরুরি অবস্থা, প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের। বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি, প্রতিক্রিয়া জয়রাম রমেশের। পাশাপাশি আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে সদ্য আক্রমণ করেছেন খোদ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। 


বাংলাতেও নজর রেখেছে আয়কর দফতর


তবে দেশের রাজধানীর পাশাপাশি, বাংলাতেও নজর রেখেছে আয়কর দফতর। সম্প্রতি কলকাতায় পতাকা বিড়ির অফিসে সাতসকালে অভিযান চালায় আয়কর দফতর। শুধু কলকাতাতে নয়, তল্লাশি চলছে মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গাতেও। পতাকা বিড়ির যাঁরা ডিরেক্টর রয়েছেন তাঁদের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালানো হয়।


হিসেব বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ


আয়কর দফতর সূত্রে খবর, হিসেব বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়। প্রতিটি অফিসের বাইরে মোতায়েন করা হয় CISF। বাইরে থেকে কাউকে সেদিন ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি কাউকে বাইরেও বেরোতে দেওয়া হয়নি সেদিন। বলাইবাহুল্য কড়া নিরাপত্তার মাঝেই চলে আয়কর দফতরের হানা। আয়কর দফতরের ২০টি গাড়ির কনভয়ে এসে পৌঁছয় সুতিতে। আধ ঘণ্টার মধ্য়েই ১৫জন আধিকারিক তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের ঔরঙ্গাবাদের বাড়িতে ঢোকেন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির গেটের দখল নিয়ে নেয় CISF। সূত্রের খবর, নথি যাচাইয়ের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূল বিধায়ককেও।


আরও পড়ুন, 'বীরদের আত্মত্যাগ ভোলার নয়', পুলওয়ামা হামলার দিনকে স্মরণ করে টুইট প্রধানমন্ত্রীর


জাকির হোসেনের আইনজীবী লোহারাম রায়ের কথায়, 'আমরা সব দিয়েছি। আরও যা চাইবেন দেব।' তৃণমূল বিধায়কের পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় জাকির হোসেনের ম্যানেজার-সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও। কেন হঠাৎ তৃণমূল বিধায়ক-সহ একের পর এক ব্যবসায়ীর বাড়ি-কারখানায় আয়কর দফতর হানা দিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ইঙ্গিত করেছেন জাকির হোসেন। জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের দাবি, 'আমি এই জেলায় সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স দিই। ব্যবসা করি। ভুল থাকতেই পারে। এই ভাবে রেইড করা উচিত হয়নি। সহযোগিতা করেছি। আগামীতেও করব। আমি শাসকদলের প্রতিনিধি বলেই করল।'বিষয় আলাদা হলেও ১৪ তারিখ বিবিসি মুম্বই ও দিল্লির অফিসে অভিযান চালিয়েছে আয়কর দফতর।