রাজকোট: ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চলতি একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে লজ্জার হারের পর আজ রাজকোটে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই টিম ইন্ডিয়ার। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে এদিনের ম্যাচ হারলেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে পর পর দুটি একদিনের সিরিজ খোয়াবে বিরাট কোহলির দল। মুম্বইয়ে দশ উইকেটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর পর রাজকোটের ম্যাচে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থকে ছাড়াই নামছে ভারত।
প্রথম একদিনের ম্যাচে প্যাট কামিন্সের বাউন্সার হেলমেটে লেগেছিল পন্থের। ওই ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। তাঁর জায়গায় কেএল রাহুল উইকেটকিপিং করেন। এই ম্যাচেও সম্ভবত রাহুলই সম্ভবত উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। তবে তাঁর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।মুম্বইতে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। চার নম্বরে আসেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এই সিদ্ধান্ত যে দলের কাজে লাগেনি, তা ওয়াংখেড়ের ম্যাচের পর নিজেই স্বীকার করেছেন অধিনায়ক।
পন্থ না খেলায় ভারত অলরাউন্ডার হিসেবে কেদার যাদবকে খেলাতে পারে। প্রয়োজনে তাঁকে দিয়ে বোলিংও করানো যেতে পারে।
তিন ম্যাচের সিরিজের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে রাজকোটের ম্যাচ জিততেই হবে ভারতকে। তাই ব্যাটিং অর্ডার আরও বেশি আক্রমণাত্মক করে তুলতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ, প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ হিসেবে পরিচিত পিচে মাত্র ২৫৫ রান তুলতে পেরেছিল ভারত।
দ্বিতীয় উইকেটে শিখর ও রাহুলের ১২১ রানের পার্টনারশিপকে কাজে লাগাতে পারেনি দল। লোয়ার মিডল অর্ডার একেবারেই পাতে দেওয়ার মতো পারফর্ম করতে পারেনি। ফলে অস্ট্রেলিয়াকে খুব বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হয়নি। এ জন্যই কোহলি বলেছেন যে, সমগ্র ইনিংসজুড়েই সতর্ক থেকে খেলতে হবে ব্যাটসম্যানদের। যাতে অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ কোনওভাবেই মাথায় চড়ে বসতে না পারে।
অধিনায়ক ওয়াংখেড়ের হারের পর বলেছেন, একটি মাত্র ম্যাচের ফলাফল দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেছিলেন, আমি কিছুটা পরীক্ষানীরিক্ষা করতে চাইছিলাম। এ ধরনের পরীক্ষা সব সময় সফল হয় না।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া গত ম্যাচের পারফরম্যন্সের পুনরাবৃত্তি চাইছে। প্রথম একাদশে সম্ভবত কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার। তাদের বোলাররা পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করেছেন এবং রাজকোটের ম্যাচেও একই ধরনের পারফরম্যান্স তাঁরা তুলে ধরবে বলে আশা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের জন্য মারনাস লাবুশানের ব্যাট হাতে নামার প্রয়োজন হয়নি। সম্প্রতি দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি।
ভারতে অস্ট্রেলিয়া এর আগে যখন একদিনের সিরিজ খেলেছিল, তখন ২০ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ঘুরে দাড়িয়েছিল এবং পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩০২ জিতে নিয়েছিল।