ওয়াশিংটন: ভারত-চিন সংঘাতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের হুঁশিয়ারি, কেউ এখানে সর্বশক্তিমান হবে, তা আমেরিকা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে না। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষকর্তার দাবি, চিনের পার্শ্ববর্তী যারাই আছে, তারা চিনা আগ্রাসন থেকে নিরাপদ নয়।
ভারত-চিন চলতি সংঘাতের মধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে আমেরিকা। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোজ বলেন, বার্তা পরিষ্কার। আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখব না যে চিন বা অন্য কোনও দেশ সর্বশক্তিমান হয়ে বিশ্বের লাগাম নিজেদের হাতে নিচ্ছে। তা সে এই অঞ্চলেই হোক বা অন্য কোনও অঞ্চলে।
মিডোজ আরও করেন, আমাদের সামরিক ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তা অটূট থাকবে। তা সে ভারত-চিন সংঘাতই হোক বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে। তিনি যোগ করেন, (দক্ষিণ চিন সাগরে) মার্কিন অভিযান শুধু এটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে বিশ্বে আরও বড় শক্তি রয়েছে।
এদিকে, এখনও লাদাখের প্যাঙ্গং সো, গালওয়ান উপত্যকা ও গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ অঞ্চলে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে উত্তেজনা কমলেও সংঘাতের আবহ রয়েছে। গালওয়ানে দুদেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে ২০ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়। সরকারিভাবে স্বীকার না করলেও, চিনাদের দিকেও ৪৩ জন হতাহত হয়েছে। এরপরই, দুদেশের মধ্যে সংঘাতের মাত্রা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং লি-র মধ্য়ে বৈঠকের পর মঙ্গলবার থেকে গালওয়ান ও গোগরা অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে চিন। শুধু ভারত সীমান্ত নয়, পূর্ব চিন সাগর ও দক্ষিণ চিন সাগর লাগোয়া সীমান্তেও সমস্যা রয়েছে চিনের। সেখানেও প্রচুর পরিমাণ বাহিনী পাঠাতে হয়েছে বেজিংকে।
দক্ষিণ চিন সাগরের পুরোটাই দাবি করে চিন। সেই দাবি নস্যাৎ করেছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও তাইওয়ান। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে, দক্ষিণ চিন সাগর ও পূর্ব চিন সাগর-- এই দুই জায়গাই খনিজ পদার্থ, তেল ও অন্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, যা বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।