নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান চলাচলের ওপর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়াল ভারত। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, সরকার ভারত থেকে ও ভারতমুখী নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবার ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৩১ আগস্ট রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক পণ্যবাহী বিমান পরিষেবা ও ডিজিসিএ অনুমোদিত বিশেষ অনুমোদিত ফ্লাইটের ওপর এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে না বলে জানানো হয়েছে।
দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের গোড়ায় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক ৩১ জুলাই পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দেয়। তারও আগের নির্দেশে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ওই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। ঘরোয়া রুটে ক্যাপাসিটি অর্থাত্ বহন ক্ষমতা আগের ৩৩ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হলেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়।
কোভিড-১৯ পর্বে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধি মাথায় রেখে ধীরে ধীরে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালুর লক্ষ্য়ে আমেরিকা, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে ট্রান্সপোর্ট বাবল চুক্তি হয় ভারতের। সেই চুক্তি অনুসারে এয়ার ফ্রান্স ও আমেরিকার ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সীমিত সংখ্যক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালানোর কথা।
পাশাপাশি কুয়েতের সঙ্গেও ভারতের বাবল চুক্তি হয়েছে যাতে দুদেশে আটকে পড়া পরস্পরের নাগরিকদের নিয়ে আসা ও পাঠানো যায়। ৯ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গেও এয়ার বাবল চুক্তি ঘোষণা করে ভারত যা ১২ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত চালু ছিল।
দ্বিপাক্ষিক এয়ার বাবলের মাধ্যমে দুটি দেশ পরস্পরের বিমানের জন্য আকাশসীমা খুলে দিয়ে ফের যোগযোগের সেতু স্থাপন করে।
গত ২৩ মার্চ থেকে ভারতে ও ভারত থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত রয়েছে। যদিও সীমিত ঘরোয়া ফ্লাইট চালু হয়েছে ২৫মে থেকে।
ভারত ও অন্য দেশগুলিতে কোভিড-১৯ ছড়ানোয় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত হওয়ার পর ২৫০০ এর বেশি ফ্লাইট চালিয়েছে বিদেশি বিমান কোম্পানিগুলি যাতে ভারতে পাঠানো হয়েছে বিদেশে আটকে পড়া নাগরিকদের, ভারত থেকে ফেরানোও হয়েছে বিদেশিদের। এছাড়া কেন্দ্রের বন্দে ভারত মিশনের আওতায় এয়ার ইন্ডিয়া ও তার সহযোগী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ৬ মে থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ২,৬৭,৪৩৬ জন আটকে পড়া ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়েছে, অন্যান্য় ফ্লাইটে ফেরানো হয়েছে ৪,৮৬,৮১১ জনকে।