নয়াদিল্লি: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউতে এবার ভারতের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব। দেশের কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় দেশে এল অক্সিজেন, করোনার ওষুধ ছাড়াও ভেন্টিলেটরস। তড়িঘড়ি এই মেডিক্যাল সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। 


গত বছর করোনা হানার সময়ে বিশ্বের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। ওষুধ থেকে করোনার টিকা বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছিল মোদি সরকার। যা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খোলে একাধিক দেশ। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউতে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করে জার্মানি। বহু দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের সৌজন্যে এবার দেশের মাটিতে পৌঁছেছে কোভিড মোকাবিলার হাতিয়ার।


সরকারি বিৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত দেশে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের মহামূল্যবান সামগ্রী এসে পৌঁছেছে। যার মধ্যে ৯২৮৪টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরস রয়েছে। ৭০৩৩টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের পাশাপাশি পাঠানো হয়েছে ১৯টি অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্ট। এখানেই শেষ হয়নি সাহায্যের তালিকা। ৫৯৩৩টি ভেন্টিলেটরের সঙ্গে দেশে এসেছে ৩.৪৪ লক্ষ রেমডেসিভির ভায়েল।


বিশ্বের এই মেডিক্যাল এইড কাজে লাগাতে ইতিমধ্যেই নজরদারি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আসামাত্রই মেডিক্যাল সামগ্রী যাতে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পৌঁছে যায় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এসব কিছু দেখার জন্য ডেডিকেটেড কোঅর্ডিনেশন সেল খোলা হয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল থেকেই কাজ করছে এই সেল। মূলত বিদেশ থেকে আসা কোভিড মেটেরিয়ালকে নির্দিষ্ট রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে এই সেল থেকে। এ বিষয়ে একটা 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর' তৈরি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। গত ২মে থেকে সেই নিয়ম মেনে কাজ করছে কোঅর্ডিনেশেন সেল।


গতকালই আমেরিকা থেকে মুম্বই এসে পৌঁছেছে ৭৮,৫৯৫ ভায়ালের রেমডেসিভির। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে সেই ওষুধ। বুধবারই দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠিয়েছেন ১২ বিরোধী দলের সদস্য। কোভিডকালে কর্মহীনদের জন্য মাসে ৬০০০টাকা করে ভাতা দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। এ ছাড়াও আর্থিকভাবে দুর্বলদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।