নয়াদিল্লি: ২০২২ সাল, ভারতীয় সামরিক ইতিহাসে এক মাইলস্টোন (Defence 2022)। কারণ এই বছরেই ভারতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ INS বিক্রান্তের উদ্বোধন হয়।  পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি ৫ মিসাইলের উৎক্ষেপন সম্ভব হয়। চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হাত ধরে সামরিকে একাধিক বড় সাফল্য আসে ভারতে। তাহলে একবার ফিরে দেখা যাক কেমন ছিল ২০২২ ?


পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি ৫ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ ভারতের


বাইশে, দেশের মুকুটে নিঃসন্দেহে  নয়া পালক পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি ৫ মিসাইল (Nuclear Capable Ballistic Missile)। চলতি বছরেই ওড়িশার চাঁদিপুরের আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি ৫ মিসাইলের উৎক্ষেপণ সফল হয়। দেশের নিরাপত্তা মন্ত্রক জানায়, রাতের আকাশে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপন করা হয় অগ্নি ৫ ব্যালেস্টিক মিসাইলের।


ভারতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ INS বিক্রান্ত


ভারতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের নাম INS বিক্রান্ত। চলতি বছরে ২ সেপ্টেম্বর, আইএনএস বিক্রান্ত-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেরলের কোচি থেকে জলে ভাসানো হয় বিক্রান্তকে। যা মূলত ভারতীয় নৌবাহিনীর ইতিহাসে মাইলস্টোন। INS বিক্রান্ত ভারতে তৈরি প্রথম এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ায়। ভারতের নৌ-ইতিহাসে এই প্রথম এত বড় যুদ্ধজাহাজ তৈরি হয়েছে। উদ্বোধনের দিন মোদি বলেন, 'আইএনএস বিক্রান্ত শুধুমাত্র একটি যুদ্ধাস্ত্র নয়। ভারতের দক্ষতা এবং প্রতিভারও প্রমাণ।'


ভারতীয় সেনবাহিনীতে নিয়োগের নতুন নিয়ম-অগ্নিপথ


চলতি বছরের জুন মাস। মোদি সরকার দেশে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পদ্ধতির সংষ্কারের যে উদ্যোগ নেয়, তারই প্রতিবাদে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তেলেঙ্গানা রাজ্যে একটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীর দল। সেকেন্দ্রাবাদ শহরে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় একাধিক জন আহত হয়।  সংঘর্ষের তালিকা থেকে বাদ পড়েনি বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ। মূলত ভারতে তরুণ যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের এক বড় সুযোগ সেনাবাহিনীর চাকরি। প্রতিবছর ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে ৬০ হাজার লোক অবসরে যান। তাঁদের জায়গা পূরণের জন্য ভারতে ১০০ টি নিয়োগ কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়। 


আরও পড়ুন, বড়দিনের আগে ফের বাড়ল কোভিড সংক্রমণ, কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্য ?


 কার্গিলে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে মোদির দীপাবলি উদযাপনে অভূতপূর্ব মুহূর্ত 


সারা বছর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে  সীমান্ত রক্ষা করেন জওয়ানেরা, যাতে সারা দেশ যখন উৎসব-উদযাপনে অংশ নিতে পারে। কোনও উৎসবেই তার পরিবারকে নিয়ে থাকা হয় না। সহকর্মীরাই তাই পরিবার। তাই প্রতিবছর তাঁদের পাশে থাকতে দীপাবলি উৎসব দেশের সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সেতো প্রতিবছরই হয়, মৌলিকত্ব কোথায় ? তাহলে আগে একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক। সালটা ২০০১। তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেসময় গুজরাতের একটি সৈনিক স্কুলে শিক্ষার্থী ছিল এক কিশোর। এক অনুষ্ঠান উপলক্ষে, সেই কিশোরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। মোদির হাত থেকে পুরস্কারও নিয়েছিল ওই কিশোর। ঘটনার ২২ বছর কেটে গিয়েছে। সেই কিশোর আর কিশোর নেই। তিনি এখন  ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর অমিত। কার্গিলে মোতায়েন রয়েছেন ওই সেনা অফিসার। আর এখানেই ফিউশন। চলতি বছরে দীপাবলিতে কার্গিলে জওয়ানদের সঙ্গে আলোর উৎসব উদযাপন করতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানেই ফের দেখা হল ফের দুজনের। ২২ বছর আগের সেই মুহূর্তের ফ্রেমবন্দি ছবি, প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে, তুলে দিলেন মেজর অমিত।