নয়াদিল্লি: 'ভারতে সম্ভবত এন্ডেমিকের শুরু হয়ে গিয়েছে, মহামারীর সম্ভবত শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে ভারতে।' তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই এমন মন্তব্য করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এন্ডেমিক পর্যায়ে জনগোষ্ঠী ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই থাকতে সক্ষম, এই পর্যায়ে সংক্রমণ শেষ না হলেও সংক্রমণ-হার কমে যায়, ২০২২-এ ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে ভারত বলে দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানীর। পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের নিয়েও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় যখন কার্যত থরহরিকম্প দেশবাসী, তখনই আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ভারত সম্ভবত করোনার ‘এন্ডেমিক’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। কী এই 'এন্ডেমিক'। এন্ডেমিক হল প্যান্ডেমিকের শেষের শুরু। যে পর্যায়ে একটা জাতি ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে শিখে যায়, ভাইরাসকে সঙ্গী করেই জীবন কাটায়, সেই পর্যায়কে ‘এন্ডেমিক’ বলা হয়। এ বিষয়ে সৌমা জানিয়েছেন, 'আমরা এন্ডেমিসিটির এমন পর্যায়ে যাচ্ছি, যেখানে সংক্রমণের কম বা মাঝারি প্রভাব দেখা যাবে। আগের মতো লাফিয়ে বেড়ে চলা সংক্রমণ সম্ভবত আর হবে না।'
অন্যদিকে তৃতীয় ঢেউ এগিয়ে আসছে বলে জানিয়ে সোমবার এই সতর্কবার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন ন্যাশনাল ইনস্টটিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমাও করেছে। তাতে এনআইডিএম(ন্যাশনাল ইনস্টটিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট)-এর তরফে বলা হয়েছে, অক্টোবরেই শিখরে পৌঁছতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি আরও ভাল চিকিৎসা পরিকাঠামোর দাবি জানিয়েছে। প্রধানত শিশুদের ক্ষেত্রে। কারণ, এবার প্রাপ্ত-বয়স্কদের মতো তাদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি এই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রচুর সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হলে যে হারে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ভেন্টিলেটর-অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন পড়বে তার ধারেকাছেও আমরা নেই। এর পাশাপাশি রিপোর্টে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শিশুদের টিকাকরণের কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে সেইসব শিশুর জন্য যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। নজর দিতে হবে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের প্রতি। রিপোর্টে শিশুদের ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।