নয়াদিল্লি: পুলওয়ামার গাড়ি বিস্ফোরণ হামলায় ভারতের তোলা অভিযোগকেই মান্যতা দিলেন পাকিস্তানের মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ৪০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর জন্য পাকিস্তানকেই কাঠগড়ায় তুলে ভারত বলেছে, ইসলামাবাদের মদতেই এই নাশকতা ঘটেছে। এবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাক মন্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি, ‘হামনে হিন্দুস্তান কো ঘুস কে মারা’ অর্থাত আমরা ভারতে ঢুকে আঘাত করেছি ওদের। পুলওয়ামায় আমাদের সাফল্য ইমরান খানের নেতৃত্বে জনগণের সাফল্য। আপনারা এবং আমরা সবাই তার শরিক। পাকিস্তান যে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে, সেটাই স্বীকার করে নিলেন তিনি।
পাক পার্লামেন্টে বিরোধী নেতা আয়াজ সাদিকের এক চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই পুলওয়ামা সন্ত্রাস নিয়ে ওই মন্তব্য করেন ফওয়াদ। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারত ও পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের এনকাউন্টারের পর বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ও সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ফাঁস করেন সাদিক। সেই বৈঠকেই জেনারেল বাজওয়াকে কুরেশি বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে ভেঙে পড়া বিমান থেকে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে সেদিন রাত ৯টার মধ্যে ছেড়ে না দিলে পাকিস্তানে হামলা করবে ভারত। সাদিক সেদিনের বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, আমার মনে আছে, শাহ মেহমুদ কুরেশি সেখানে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৈঠকে থাকতে অস্বীকার করেন। চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল বাজওয়া ঘরে ঢোকেন। তিনি ঘামছিলেন, তাঁর পা কাঁপছিল। বিদেশমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ঈশ্বরের দিব্যি, অভিনন্দনকে ছেড়ে দিন। ভারত রাত ৯টায় হামলা করতে চলেছে।
পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণের জবাবে পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা করে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পাকিস্তান আঘাত করে। পাল্টা জবাব দেয় ভারত।