নয়াদিল্লি: একদিকে চিন্তা বাড়াচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি। অন্যদিকে আরও উদ্বেগ বাড়াল ভারতের বেকারত্বের হার। নভেম্বরে ভারতে বেকারত্বের হার ৮ শতাংশ। যা গত তিন মাসে সর্বোচ্চ। আগের মাসেই দেশে বেকারত্বের বার ছিল ৭.৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার তথ্য প্রকাশ করে জানালো সেন্টার ফল মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (Centre for Monitoring Indian Economy)।  


শহরে বেকারত্বের থাবা:
ভারতের শহরাঞ্চলের বেকারত্ব গত মাসের তুলনায় এক লাফে অনেকটাই বেড়েছে। সেন্টার ফল মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE)-এর তথ্য় বলছে নভেম্বরে দেশের শহর এলাকায় বেকারত্ব ৮.৯৬ শতাংশ। গত মাসে যা ছিল ৭.২১ শতাংশ। অর্থাৎ গত এক মাসে প্রায় এক শতাংশ বেড়েছে বেকারত্ব।


গ্রামের ছবিটা কী?
শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেলেও, গ্রামীণ এলাকায় গত মাসের তুলনায় সামান্য হলেও কমেছে বেকারত্বের হার। গত মাসে যেখানে বেকারত্ব ছিল ৮.০৪ শতাংশ। সেখানে নভেম্বরে বেকারত্বের হার ৭.৫৫ শতাংশ। 


মুম্বইয়ে সদর দফতর CMIE-এর। এই সংস্থা যা তথ্য় প্রকাশ করে তা সবসময়েই নজরে থাকে অর্থনীতিবিদ, আর্থিক বিশেষজ্ঞ এবং দেশের নীতি-নির্ধারকদের (Policymakers)। কারণ সরকারের তরফে মাসে-মাসে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয় না।  


সেন্টার ফল মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি  বা CMIE (Centre for Monitoring Indian Economy) এটি ব্যবসা-আর্থিক বিশ্লেষণকারী সংস্থা (Business information company)। ১৯৭৬ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাইমারি ডেটা কালেকশন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যাবতীয় তথ্য় সংগ্রহ করা এবং তা সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ অর্থনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন সূচকের ওঠানামা মাপার কাজ করা হয় এই সংস্থার তরফে।     


এরমধ্য়েই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে National Statistical Office (NSO) বেকারত্ব নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিক পিরিওডিক শ্রমশক্তি সমীক্ষায় (Periodic Labour Force Survey) যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশের চাকরির হার (employment rate) কমে ৭.২ শতাংশ হয়েছে। যা গত বছরেও ছিল ৯.৮ শতাংশ। ওই তথ্যই দেখাচ্ছে ২০২২ সালের এপ্রিল-জুনে শহর এলাকায় বেকারত্বের হার ছিল ৭.৬ শতাংশ। 


কোভিডের সময় বিশ্বের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও তীব্র ধাক্কা খেয়েছিল। বেকারত্বের হার বেড়েছিল। তার পর থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। যদিও এখনও আশঙ্কা এখনও কাটেনি। তারইমধ্য়ে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের জোড়া কাঁটা ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি নিয়ে।


আরও পড়ুন: অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ কখনই অ্যাপ স্টোর থেকে ট্যুইটার অ্যাপ অপসারণের কথা ভাবেনি, জানালেন খোদ ইলন মাস্ক