ইন্দোর: ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলার দুই দিন বাকি থাকতেই ইনিংসে হারল বাংলাদেশ।  তাদের ইনিংস ও ১৩০ রানে হারিয়ে দিল ভারত। এই ম্যাচ জিতে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল বিরাট কোহলির দল।   মুশফিকর রহিমের অর্ধশতরানের ইনিংসে ভর করে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাংলাদেশ ইনিংস হার এড়ানোর একটা অসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু অশ্বিনের বলে তিনি আউট হওয়ার পরই  বাংলাদেশের সেই লড়াইটুকুও  শেষ হয়ে যায় । ৬৪ রান করে অশ্বিনের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মুশফিকর। ২০৮ রানে ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অশ্বিনই এবাদাত হোসেনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে তারা ১৫০ রানে অল আউট হয়েছিল।


ভারতের সামি ৩১ রানে চার উইকেট, অশ্বিন ৪২ রানে তিন উইকেট, উমেশ ৫১ রানে দুই উইকেট, ইশান্ত ৩১ রানে এক উইকেট নিয়েছেন।
এদিন ৩৪৩ রানের লিড নিয়ে ইনিংসে সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল ভারত। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ছয় উইকেটে ৪৯৩ । সেই রানেই তৃতীয় দিন সকালে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তৃতীয় দিনের সকালের পরিবেশে ভারতীয় পেসারদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। মধ্যাহ্নভোজের আগেই ৬০ রানে চার উইকেট খুইয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। মহম্মদ সামি, ইশান্ত ও উমেশ যাদবদের দাপটে একেবারেই স্বস্তিতে ছিলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
দ্বিতীয় সেশনে মুশফিকর লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তার আগে মাহমুদুল্লাকে ফিরিয়ে দেন সামি। ৭২ রানে পাঁচ উইকেট পড়ার পর ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিকর-লিটন যোগ করেন ৬৩ রান। লিটনকে আউট করেন অশ্বিন। ৩৫ রান করেন তিনি। ১৩৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মিরাজের সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলতে থাকেন মুশফিকর।হাফসেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন তিনি। চা-পানের বিরতিতে বাংলাদেশের রান ছিল ছয় উইকেটে ১৯১ রান। মুশফিকর (৫৩) এবং মিরাজ (৩৮) ক্রিজে ছিলেন।
চা-পানের বিরতির পরই মিরাজকে আউট করেন উমেশ। ৩৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ১৯৪ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে। এরপর ৬ রান করে তাইজুল ইসলাম সামির বলে আউট হন। ২০৮ রানে অষ্টম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।