নয়াদিল্লি : দেশে ৫জি পরিষেবা কার্যকর করা বন্ধ করার আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন জুহি চাওলা। তাঁর দাবি, ৫জি পরিষেবা চালু হলে তার ফলে যে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন (আরএফ) ছড়াবে তা ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে জনজাতির উপর। প্রাক্তন অভিনেত্রীর দাবি, ৫জিতে যে রেডিয়েশন ছড়াবে তা বর্তমানে সময়ের রেডিয়েশনের থেকে ১০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। বর্তমানে পরিবেশকর্মী হিসেবে গোটা দেশে কাজ করা জুহির আবেদনের শুনানির আর্জি গ্রহণ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। আগামী ২ জুন যে মামলার শুনানি হবে।


সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সি হরিশঙ্করের বেঞ্চে প্রথমে এই মামলা ওঠে। তিনি মামলাটি শুনতে প্রত্যাখ্যান করে অন্য একটি বেঞ্চে সেটি পাঠিয়ে দেন। সেখানেই ২ জুন ৫ জি পরিষেবা মোবাইলে এলে তার রেডিয়েশনের কী প্রভাব পড়তে পারে সেই নিয়ে শুনানি হবে।


জুহি চাওলার পক্ষ থেকে তাঁর মুখপাত্র এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, ৫জি টেকনোলজি চালু হলে তার থেকে যে রেডিয়েশন উৎপন্ন হবে সেটা প্রবলভাবে প্রভাব ফেলবে মানবজাতির ওপর। মানুষ থেকে পশু-পাখি সকলকেই যে বাড়তি রেডিয়েশনের ফল ভুগতে হবে। বিভিন্ন সমীক্ষায় ৫জি পরিষেবার রেডিয়েশনের যে ক্ষতিকারক দিক সামনে উঠে এসেছে বলেও দাবি করেন তিনি।


২০১৯ সালের একটি আরটিআইয়ের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২জি, ৩জি, ৪জি, বা ৫জি পরিষেবার কী প্রভাব মানবদেহে, প্রাণীদেহে বা কীটপতঙ্গের দগেহে পড়েছে, তা নিয়ে কোনও তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই।


বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র টেরনোলজির কথা বলে দেশের মানুষদের ও পরবর্তী প্রজন্মের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ইস্যুগুলি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। ৫জি পরিষেবা চালু হলে যে রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়বে তা থেকে কোনও মানুষ, প্রাণী, পাখি, কীট-পতঙ্গ কিছুই রেহাই পাবে না। বর্তমান সময়ে চারিদিকে যে রেডিয়েশন রয়েছে, তার থেকে ১০ তেকে ১০০ গুণ রেডিয়েশন বেড়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে তাদের তরফে। যেমনটা বলে প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেম প্রবলভাবে প্রভাবিত হতে পারে বলেও মত তাদের।