নয়াদিল্লি : আফগানিস্তান থেকে আজ দেশে ফিরলেন ১৪৬ জন ভারতীয়। এখনও আটকে রয়েছেন অনেকে। সোমবার কাতার এয়ারওয়েজ, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো ও ভিস্তারার বিমানে দেশে ফেরেন ১৪৬ জন। কাতারের সহযোগিতায় কাবুল থেকে তাঁদের প্রথমে দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ফেরানো হয় ভারতে। এদের মধ্যে রয়েছেন কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মী।

রবিবারই  ৮৭ জন ভারতীয় প্রথমে কাবুল থেকে তাজিকিস্তান হয়ে দেশে ফেরেন। বিমানে তাঁদের মুখে শোনা যায়, ভারত মাতা কি জয় ধ্বনি। একই বিমানে দিল্লি পৌঁছন নেপালের দুই নাগরিকও। রবিবারই বিদেশপন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইট করে জানান, "আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে! AI 1956 বিমানে ৮৭ জন ভারতীয়কে নিয়ে তাজিকিস্তান থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন নেপালি নাগরিকেও সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা গিয়েছে। "



এর পাশাপাশি, কাবুল থেকে আরও ১৬৮ জনকে নিয়ে দেশে ফেরে বায়ুসেনার বিমান। এদের মধ্যে ১০৭ জন ভারতীয়। এই বিমানেই ভারতে পৌঁছন আফগানিস্তানের শিখ সাংসদ নরিন্দর সিং খালসা ও আফগান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সদস্য আনারকলি হোনারিয়ার। এয়ার লিফটের মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। 


রবিবার সকালে সবমিলিয়ে এয়ারলিফট করে মৃত্যুপুরী থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় কয়েক শো ভারতীয়কে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, কার্শিংঙের বাসিন্দা শেখর গুরুং। আফগানিস্তানে কোরিয়ার দূতাবাসে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। রবিবার সকালে, কাবুল থেকে দিল্লি ফিরেছেন তিনি। কাবুলে আটকে থাকার পর, রবিবার রাতে দেশে ফিরেছেন নিমতার তমাল ভট্টাচার্যও। মৃত্যুপুরী আফগানিস্তান থেকে রবিবারই দেশে ফিরেছেন সর্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। লেক ভিউ রোডের বাসিন্দা সর্বজিৎ কাবুলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক। বাঙালি অধ্যাপকের দাবি, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সকলের মনেই ভয় কাজ করছে। তালিবান-নৃশংসতার প্রমাণ এবার অন্তত তাঁরা পাননি। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ অনলাইন পরীক্ষা চলছে বলে জানান কাবুলের বাঙালি অধ্যাপক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ফের আফগানিস্তানে ফিরতে চান, জানিয়েছেন সর্বজিৎ।


 


সর্বজিৎ-তমাল-শেখররা ফিরেছেন। কিন্তু বহু ভারতীয়ই এখনও আফগানিস্তানে আটকে! আবার, এমন অনেকে আছেন, যাঁদের কাবুল থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও, এখনও দেশেই ফিরতে পারেননি। এখনও যাঁরা দেশে ফিরতে পারেননি, তাঁদের অনেকেই পড়েছেন পাসপোর্টের সমস্যায়। অভিযোগ, কাজে যোগ দেওয়ার সময় তাঁদের পাসপোর্ট নিয়ে নেয় নিয়োগকারী সংস্থা। কাবুলের পতনের পরে পাসপোর্ট ফেরত পাননি অনেকেই। ফলে আফগানিস্তান থেকে বেরোতে পারলেও, পাসপোর্ট সঙ্কটের জেরে ভিনদেশেই আটকে থাকতে হচ্ছে অনেককে।