অমরাবতী : অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডি  রাজ্যে আঠারোর ঊর্ধ্বে সকলকে নিখরচায় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা অবদি নাইট কার্ফু ঘোষণা করেছে সরকার। পরিস্থিতি যেভাবে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, তাতে নাইট কার্ফু ছাড়া উপায় নেই, বলে এই সিদ্ধান্ত, জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।


শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী করোনা সংক্রান্ত একটি জরুরি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেন । তিনি জানান, রাজ্য সরকার সরাসরি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির থেকে প্রতিষেধক কিনবে তারপর ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে সকলকে নিখরচায় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ।

নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়ে গেলে, ৫ মে থেকে নিখরচায় বাংলার মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পাল্টা বিজেপিও ট্যুইট করে জানিয়েছে, তারা ক্ষমতায় এলেই বিনা পয়সায় সকলকে করোনার ভ্যাকসিন দেবে। 


মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে , তারাও ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে করোনার ভ্যাকসিন নিখরচায় দেবে । মধ্যপ্রদেশ সরকার বুধবার ঘোষণা করে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। এই কর্মসূচি শুরু হবে ১ মে থেকে । বুধবার মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চহ্বান মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানান । ছত্তীসগঢ়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে নিখরচায় করোনার ভ্যাকসিন দেবে রাজ্য সরকার । মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল একথা জানান নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে। এর আগে অসম সরকারও বিনা পয়সায় নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।

গত ১৯ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারবে । সেইসঙ্গে বলা হয় খোলাবাজারে কোভিড ১৯ - এর ভ্যাকসিন রাজ্যগুলি আলাদা করে   কিনতেও পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকে।এতদিন ভ্যাকসিন বণ্টন প্রক্রিয়াটি গোটাটাই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু, এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকার খোলা বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রির সবুজ সঙ্কেত দেয়।