গুয়াহাটি: এখনও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। বুধবারও আরও ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে অসমে। এরই মধ্যে রাজ্য জুড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যার ফলে ফের চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। এই বছরে প্রবল বর্ষা, বন্যা এবং ধসের কারণে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড়শো জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
আরও মৃত্যু:
বুধবার যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, তাঁদের মধ্যে কাছার ও চিরাং জেলায় ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বরপেটা, দারাং, লখিমপুর ও নওগাঁ থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গুয়াহাটিতে ধসের ঘটনা ঘটেছে।
বৃষ্টি বাড়ছে, বাড়ছে বন্যা পরিস্থিতিও:
নতুন করে বৃষ্টি বাড়তে থাকায়, নদীর জলস্তর ফের বেড়েছে। যার ফলে আরও একাধিক সংখ্যক বাসিন্দা নতুন করে ঘরছাড়া হয়েছেন। আরও একাধিক, ত্রাণ শিবির তৈরি করা হচ্ছে বন্যাদুর্গতদের রাখার জন্য। এখন গোটা অসমে তিন লক্ষেরও বেশি ত্রাণ শিবির খোলা রাখা হয়েছে।
বন্যা-বিপদ:
সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের তরফে অসমের বন্যা পরিস্থিতিকে Severe বা ভয়াবহ বলা হয়েছে। জোরহাট, তেজপুর ও ধুবড়ি এলাকা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আরও একাধিক নদীও বিপদসীমার উপর গিয়ে বইছে। ধর্মতুলে কোপিলি নদী, বেকি নদী, শিলচরের বরাক নদী, করিমগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি রক্তচাপ বাড়াচ্ছে অসম প্রশাসনের। গত দুদিন ধরে অসম ও অরুণাচলে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। সেই কারণেই ওই এলাকার একাধিক নদী বিপদসীমার উপরে বইছে। ব্রহ্মপুত্র-সহ বাকি শাখানদীগুলিরও একই ঘটনা।
বৃষ্টি-বিপদ মনিপুরে:
বৃষ্টির কারণে এবার বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে মনিপুরেও। টানা বৃষ্টিতে ওই রাজ্যের একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। বেশ কিছু এলাকায় হড়পা বানের আশঙ্কাও দেখা গিয়েছে। মনিপুরের বেশ কিছু গ্রামের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগও।
আরও পড়ুন: দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১৮ হাজার পার, একদিনে মৃত্যু ৩৯ জনের