UP Election Results: উত্তরপ্রদেশে চলল যোগী আদিত্যনাথের বুলডোজার। কৃষক আন্দোলন, কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধির মতো জ্বলন্ত ইস্যুগুলি বিরোধীরা তুলে ধরলেও সেগুলি হালে পানি পেল না। ভোট গণনার প্রবণতা অনুযায়ী, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে লখনউয়ের তখতে  পদ্ম-রাজ-ই ফিরতে চলেছে। বিরোধীদের বহু পিছনে ফেলে এগিয়ে বিজেপি। বিরোধী বলতে সমাজবাদী পার্টি। আগের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় শক্তি বাড়লেও বিজেপির থেকে প্রায় ১৫০ আসনে পিছিয়ে তারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজেপি ২৭৩ আসনে এগিয়ে। দ্বিতীয় স্থানে সমাজবাদী পার্টি নেতৃত্বাধীন জোট ১২২, বিএসপি ৫, কংগ্রেস ২ ও অন্যান্য এক আসনে এগিয়ে। বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন উত্তরপ্রদেশের ভোটের বাক্সে প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান করেছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু ভোট গণনার প্রবনতায় সেই প্রভাব একেবারেই দেখা যায়নি বললেও অত্যূক্তি হয় না। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয় পেয়ে ক্ষমতায় ফিরলে কেন্দ্র সরকার কি ফের কৃষি আইন নিয়ে আসবে? এই প্রশ্নের জবাবে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন,  এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তা হবে কৃষকদের স্বার্থেই। 


বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, আমি এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেব না। তবে এটা নিশ্চিতভাবেই জানি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা হবে কৃষকদের স্বার্থেই।


বিজয়বর্গীয় আরও বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে যেখানে যেখানে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল, সেই সব জায়গাতেই বিজেপি জিতেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, যাঁরা নিজেদের কৃষক নেতা বলে দাবি করেন, তাঁরা কী আসলেই কৃষকদের নেতা? ওই নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে বলেছিলেন। কিন্তু কৃষকরা বিজেপিকেই ভোট দিয়েছেন। এর থেকেই স্পষ্ট, কৃষকরা যদি কারুর পাশে থাকেন, তাহলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর পাশে রয়েছেন, বিজেপির পাশে রয়েছেন।


এই বিপুল জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপির প্রশংসা করে বলেছেন, বিজেপি প্রথমেই যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেই অনুসারেই ধারাবাহিকভাবে কাজ করেছে। মানুষের পূর্ণ আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি। তাঁদের আস্থা রয়েছে বিজেপির ওপর। 
বিজেপির এই জয়ের জন্য বিজয়বর্গীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্ব, উন্নয়ন ও ধারাবাহিকভাবে মানুষের স্বার্থে কাজ এই জয়ের কারণ। ২০১৪-র কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নের কর্মসূচির সূচনা হয়।বিজেপির এই জয় পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে জয়।