নয়াদিল্লি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই অযোধ্যায় রামমন্দিরের (Ram Temple) নির্মাণ হবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন রামমন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র। জানালেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকেই রামমন্দিরের প্রথম তলের নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে (Ram Temple Consecration)। মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সবমিলিয়ে ১০ দিন ধরে অনুষ্ঠান চলবে বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে নিয়ে মুখ খোলেন নৃপেন্দ্র। তিনি জানান, তিন তলা রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে। এ বছর ডিসেম্বরের শেষ দিকেই প্রথম তলের নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে। তার পর ২২ জানুয়ারি মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার কথা রয়েছে। ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে, তাতে অংশ নেবেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে মন্দিরের গর্ভগৃহে 'রামলাল্লা'র (Ram Lalla) মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। 'রামলাল্লা' অর্থ রামচন্দ্রের শিশুকালের মূর্তি। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির পরই সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১০ দিন ধরে চলবে আচার-অনুষ্ঠান। তার পর ২৪ জানুয়ারি থেকেই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: Air India Flight: শাড়ি নয়, এয়ার ইন্ডিয়ার নারীদের জন্য এবার নয়া ইউনিফর্ম
নৃপেন্দ্র জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বিশেষ একটি যন্ত্র তৈরির কাজ চলছে, যা মন্দিরের 'শিখরে' বসানো হবে। এমন ভাবে ওই যন্ত্র বসানো হবে, যাতে প্রতি বছর রামনবমীতে কিছু ক্ষণের জন্য ওই যন্ত্রের মধ্য দিয়ে গর্ভগৃহে রোদ এসে পৌঁছবে। একেবারে মূর্তির কপালে গিয়ে পড়বে সূর্যকিরণ। বেঙ্গালুরুতে ওই যন্ত্রটি তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা তার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং পুণের একটি সংস্থা কম্পিউটারে তার নকশা তৈরি করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন।
২০১৯৮ সালে অযোধ্যার বিতর্কিত জায়গায় রামমন্দির নির্মাণে অনুমোদন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মসজিদ তৈরির জন্য উত্তরপ্রদেশের অন্যত্র বিকল্প পাঁচ একর জমি দিতে বলা হয় কেন্দ্রকে। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ওই বিকল্প জমি দিতে বলা হয়। অযোধ্যার রামমন্দির নির্মাণ এবং তার দেখভালের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র সংগঠনের হাতে।