নিউ দিল্লি: ইঞ্জেকশন-এ ভয়, অথচ করোনা টিকা নিতেই হবে! এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আসছে ভারত বায়োটেক। ভারতের প্রথম নাসাল কোভিড টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্লিনিক্যাল পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমোদন পেল। অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এই নাসাল টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। এই টিকা নাকের মাধ্যমে শরীরে স্প্রে করা হবে।  


শুক্রবারই এই অনুমোদন পেয়েছে ভারত বায়োটেক। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন সূচের মাধ্যমে শরীরে প্রতিষেধক প্রবেশ করানোর থেকে বেশি কার্যকরী নাকে স্প্রে। কারণ এতে প্রতিষেধক সরাসরি ফুসফুস, নাক, গলা-সহ শ্বাসনালীতে পৌঁছবে। যা করোনা থেকে বাড়তি সুরক্ষা দেবে বলেই দাবি।


বায়োটেকনোলজি বিভাগের তরফে বলা হয়েছে প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সিদের দেহে করা হয়েছে। এই প্রথম কোনও নাসাল ভ্যাকসিন এই অনুমোদন পেল। BBV154 হল একটি ইন্ট্রানাসাল রেপ্লিকেশন-ডেফিসিয়েন্ট  শিম্পাঞ্জি অ্যাডেনোভাইরাস SARS-CoV-2 ভেক্টর টিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারত বায়োটেকের ইন-লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রযুক্তি এতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি। 


সহজ ব্যবহার পদ্ধতি অনুসরণ করে যেকেউ এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে বলেই জানান হয়েছে। সম্প্রতি ভারত বায়োটেকের টিকার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়রি গ্রুপ অন ইমিউনাজ়েশনের প্রধান এন কে অরোড়া বলেছিলেন কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকের প্রথম কয়েকটি ব্যাচ গুণমানের দিক থেকে ছাড়পত্র না-পাওয়ায় ওই সঙ্কট তৈরি হয়েছে।



ভারত বায়োটেকের তরফে বলা হয়েছিল, ‘‘কোভ্যাক্সিনের প্রতিটি ব্যাচকে দু’শোরও বেশি গুণমান নির্ধারক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ভারত সরকারের সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরি (সিডিএল) ছাড়পত্র দিলে তবেই ওই সমস্ত ব্যাচের টিকা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা হয়।’’ ভারত বায়োটেকের যুক্তি, কোভ্যাক্সিন তৈরি করতে গিয়ে তাদের জীবন্ত ভাইরাস নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। সাবধানতা বজায় রাখতে হচ্ছে। এর ফলে সংখ্যায় কম হলেও সুরক্ষিত একটি প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।