পটনা : "বিহারে (Bihar) পরবর্তী সরকার গড়ার জন্য তাদের ডাকা হোক। সাত দলের সমর্থন রয়েছে। নির্দল-সহ ১৬৪ জন বিধায়ক রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে।" রাজ্যপালের সঙ্গে দ্বিতীয়বার দেখা করে এমনই দাবি জানালেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এবার তাঁর সঙ্গী ছিলেন তেজস্বী যাদব এবং অন্যান্য বিরোধী নেতারা।



কী বলছেন তেজস্বী ?


রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, "গোটা হিন্দি বলয়ে, বিজেপির কোনও জোট শরিক নেই। ইতিহাস বলছে, বিজেপি যে দলের সঙ্গে জোট গড়েছে, সেই দলকে শেষ করে দিয়েছে। পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রেও তা-ই হয়েছে। এর আগে জেপি নাড্ডা বলেছিলেন, তারা আঞ্চলিক দলগুলিকে শেষ করে দেবে। বিজেপি শুধু মানুষকে কিনতে জানে। আমরা নীতীশ কুমার ও লালুজি-কে ধন্যবাদ জানাই। আমরা শুধু চেয়েছিলাম বিজেপির এই কর্মসূচি যেন বিহারে না চলে। আমরা সবাই জানি যে, লালুজি আদবাণীজি-র "রথ" থামিয়ে দিয়েছিলেন। "


আরও পড়ুন ; "বিজেপির সঙ্গে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ছিল", মুখ্যমন্ত্রী-পদে ইস্তফা নীতীশের


কিছু আগেই বিজেপি-সঙ্গ ছেড়ে ইস্তফা দিয়েছেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। "বিজেপির সঙ্গে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ছিল।" বিজেপি-সঙ্গ ছাড়ার পরেই সুর চড়ান নীতীশ। ইস্তফা দিয়েই রাবড়ী দেবীর বাসভবনে যান তিনি। 


এর আগে ২০১৫-য় বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন নীতীশ। এর পার হাত ধরেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও কংগ্রেসের। জেডিইউ-আরজেডি ও কংগ্রেসের 'মহাগাঁটবন্ধন' ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনের জয়লাভ করে। মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ কুমার এবং তাঁর ডেপুটি হন তেজস্বী যাদব। যদিও সেই জোট টেকেনি। ২০১৭-য় ফের জোট বাঁধে বিজেপি-জেডিইউ। ৫ বছর পর ফের ভাঙল জোট। এই পরিস্থিতিতে আজ পাটনায় নিজের বাসভবনে দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন নীতীশ। বিরোধীদল আরজেডি-র ডাকে রাবড়ি দেবীর বাসভবনে বৈঠক বসেন কংগ্রেস ও বাম নেতারা। বিকেলে পাটনায় বৈঠকে বসছে বিজেপির কোর কমিটি।


বিহার বিজেপির প্রধান সঞ্জয় জয়সওয়াল অবশ্য বলছেন, এনডিএ-র ব্যানারে আমরা ২০২০ সালে একসঙ্গে লড়াই করেছিলাম। জনাদেশ ছিল জেডিইউ ও বিজেপির দিকে। আমরা বেশি আসনে জিতেছিলাম। তা সত্ত্বেও, নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। কিন্তু, আজ যা ঘটল তা বিহারের মানুষ ও বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা। এই পরিস্থিতিতে নীতীশ কুমারকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।