মুম্বই: শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নাটক। বিজেপি-র সমর্থনে রাজ্যের একনাথ শিণ্ডে রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বলে ঘোষণা হয়েছিল কিছু ক্ষণ আগেই। নিজে মুখে শিণ্ডেকে ক্ষমতায় বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। একই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, শিণ্ডে সরকারে কোনও দায়িত্বে থাকছেন না তিনি। কিন্তু শিণ্ডের শপথগ্রহণের আধ ঘণ্টা আগে ফের পাল্টে গেল সমীকরণ। জানা গেল, মহারাষ্ট্রে উপ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ফড়ণবীস। বিজেপি নেতৃত্বের অনুরোধে ওই পদে বসতে রাজি হয়েছেন তিনি।
না বলেও পরে হ্যাঁ ফড়ণবীসের
এ দিন সন্ধেয় শপথগ্রহণের ঠিক আগে ট্যুইট করে উপ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বলে জানান ফড়ণবীস। তিনি লেখেন, 'দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে প্রতিটি নির্দেশ পালন করি আমি। দলই আমাকে সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছিল। দলের নির্দেশ মাথা পেতে নিলাম।'
বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় গোড়া থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন ফড়ণবীস। গভীর রাতে গুজরাতে শিণ্ডের সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠকও করান। তাই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁকেই দেখা যাবে বলে ধারণা বৈধতা পেয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে তাতে জল ঢেলে দেন ফড়ণবীস। জানিয়ে দেন, শিণ্ডে সরকারে কোনও দায়িত্বেও থাকবেন না তিনি। কিন্তু তশপথগ্রহণের সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে, ততই নাটক ঘোরাল হতে থাকে। জানা যায়, তৃতীয় বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন ফড়ণবীস। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী কারর সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তাই শিণ্ডে সরকারেও থাকতে চাননি ফড়ণবীস।
শাহের নির্দেশে উপ মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীস
কিন্তু শিণ্ডের শপথগ্রহণ যত এগিয়ে আসতে থাকে, ততই দেবেন্দ্রকে মহারাষ্ট্র সরকারে রাখার দাবি জোরাল হতে থাকে বিজেপি-র অন্দরে। সেই মতো বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রথমে ফড়ণবীসকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁকে উপ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাতেও মান ভাঙেনি ফড়ণবীসের। এর পর মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসেন শাহ। তাতেই শেষ পর্যন্ত মন গলে তাঁর। উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হন।