নয়া দিল্লি : "সবসময় ভালবাসা ছড়িয়ে দিতেন। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিল। হয়ত সেই জন্যই আজ সকলেই আমার এই ক্ষতিতে শোকস্তব্ধ।" এইভাবেই প্রয়াত স্বামী ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার(Brig LS Lidder ) স্মৃতিচারণা করছিলেন তাঁর স্ত্রী গীতিকা লিড্ডার(Geetika Lidder)। বুধবার তামিলনাড়ুর কুন্নুরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃতদের তালিকায় রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারও।
একটা দুর্ঘটনাতেই সব ওলট-পালট হয়ে গেছে। সময়টা যেন থমকে আছে গোটা লিড্ডা পরিবারের কাছে। আজ সকালেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারের। স্বামীর অবর্তমানে মেয়ে আশনার কথা ভেবে চিন্তিত গীতিকা লিড্ডা।
সংবাদ সংস্থা এনএনআই-কে তিনি বলছিলেন, ওঁর ছিল লার্জার দ্যান লাইফ। প্রত্যেকেই এটা জানেন। দেখতেই পাচ্ছেন, কত মানুষ বিদায় জানাতে এসেছেন। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিল ওঁর। সবসময় ভালবাসা ছড়িয়ে দিতেন। সম্ভবত সেই কারণেই আজ সকলেই আমার এই ক্ষতিতে শোকপ্রকাশ করছেন। কিন্তু আমাদের অবশ্যই তাঁকে বিদায় দিতে হবে... তবে হাসিমুখে বিদায় দিচ্ছি। আমি একজন সেনার স্ত্রী। আমার আর কিছু বলার নেই।
আরও পড়ুন ; 'বাবা ছিলেন দেশনায়ক, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু', লিড্ডারের শেষকৃত্যে শোকবিহ্বল কন্যা আশনা
তিনি আরও বলেন, গর্বের থেকেও এখন প্রচুর দুঃখ রয়েছে। জীবন এখন খুব দীর্ঘ কিন্তু...যাইহোক। যদি ঈশ্বর এটাই চান, আমাদের এই ক্ষতি মেনেই জীবন কাটাতে হবে। খুব ভাল বাবাও ছিলেন। আমার সন্তান সত্যিই ওর বাবাকে মিস করবে। খুব বড় ক্ষতি।
আরও পড়ুন ; ১৭টি তোপধ্বনিতে চিরবিদায় জেনারেল রাওয়াতকে, কেন জানেন ?
এদিকে এএনআই-এর মুখোমুখি হয়ে ব্রিগেডিয়ার লিড্ডার-কন্যা বলেন, "আমি এবার ১৭ বছরে পড়ব। অর্থাৎ বাবা আমার সঙ্গে ১৭ বছর ছিলেন। আগামী দিনে আমরা সেই সুখ-স্মৃতি নিয়েই এগিয়ে যাব। এটা জাতীয় ক্ষতি। আমার বাবা ছিলেন একজন দেশনায়ক, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। হয়ত এটাই আমাদের ভাগ্যে ছিল। তিনি আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা ছিলেন।"