কলকাতা: করোনা কালে দেশবাসীর জন্য বিনামূল্যে রেশনের (Free Ration) ব্যবস্থা করেছিল সরকার। তার রূপকার হিসেবে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নোবেল শান্তি পুরস্কারে (Nobel Peace Prize) সম্মানিত করার দাবি উঠল। তবে কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সুপারিশ নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার দাবি তুললেন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্চের প্রধান আশিস চৌহান (BSE Chief Ashish Chauhan)। নোবেল কমিটির বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত বলে মত তাঁর।


রাষ্ট্রপুঞ্জের মতো মোদিকেও দিতে হবে নোবেল!


করোনা কালে (COVID Pandemic) খাদ্য প্রকল্পের আওতায় বিশ্বের ৮৮টি দেশে ৯ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ (United Nations)। তার জন্য ইউনাইটেড নেশনস ওয়র্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম-কে নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০২০-তে সম্মানিত করা হয়েছে। অতিমারিতে খাদ্য সঙ্কট নিরসনে তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।


তাতেই মোদির জন্য নোবেল দাবি করেছেন BSE প্রধান। তাঁর মতে, রাষ্ট্রপুঞ্জ সাড়ে ১১ কোটি মানুষের মুখে খাবার জুগিয়েছে বলে ধরে নিলেও, ভারতের জনসংখ্যার তা মাত্র ১৪ শতাংশ। অথচ করোনা কালে দেশের ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিয়েছেন মোদি। তাহলে কি মোদিকেও নোবেল দেওয়ার কথা ভাববে নোবেল কমিটি, প্রশ্ন তুলেছেন BSE প্রধান। তাঁর মতে, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত নোবেল কমিটির।


আরও পড়ুন: Jignesh Mevani Update: 'পুলিশি শাসনের দিকে এগোচ্ছি!' জিগনেশ মামলায় অসম পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের


শুক্রবার IIM কলকাতার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন BSE প্রধান। সেখানে তিনি বলেন, “উন্নত দেশগুলির চেয়ে ভারতে মাথাপিছু গড় আয় ১০-৩০ শতাংশেরও কম। তার পরেও কোভিড পরিস্থিতি ভাল ভাবেই সামাল দিয়েছি আমরা। আমাদের গর্ববোধ করা উচিত। বিনামূল্যের রেশন প্রকল্পে দেশের ৮০ কোটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে। বহু দেশকে একত্রিত করলেও, তাদের জনসংখ্যা এত হবে না। নোবেল কমিটি মোদিজির এই কৃতিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে কিনা, তা সময়ই বলবে।”


কলকাতায় দাঁড়িয়ে মোদিকে নোবেল দেওয়ার দাবি


করোনা কালে ইতিবাচক ভূমিকার জন্য দেশের রাজনীতিক, সমাজকর্মী এবং চিকিৎসকদেরও প্রশংসা করেন BSE প্রধান। তাঁর দাবি, কথায় কথায়, পান থেকে চুন খসলেই রাজনীতিকদের দোষারোপ করেন সাধারণ মানুষ। কিন্ত এ বার কঠিন পরিস্থিতিতে রাজনীতিকরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করে দেখিয়েছেন।”