নয়াদিল্লি: লাইসেন্স ছাড়াই আরও এক বছর বিদেশ থেকে পাম তেল (Palm Oil) আমদানিতে অনুমোদন মিলেছে এক দিন আগেই। এ বার বিদেশ থেকে পরিশোধিত পাম তেল আমদানিতে শুল্কের হারও (Palm Oil Import Duty)কমিয়ে দেওয়া হল। ১৭.৫  শতাংশ থেকে তা কমিয়ে ১২.৫ শতাংশে নামিয়ে আনল কেন্দ্র। পাম তেল সরবরাহে যাতে ঘাটতি না দেখা দেয় এবং দেশীয় বাজারে ভোজ্য তেলের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।


মঙ্গলবার থেকেই চালু কার্যকর হচ্ছে এই নয়া আমদানি শুল্কের হার। তা চালু থাকবে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ভোজ্য তেলের (Edible Oil) শুল্কে হ্রাস টানার ইঙ্গিত যদিও গত সপ্তাহে লোকসভার অধিবেশন চলাকালীনই দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।


আরও পড়ুন: TMC MP Suspended: রুলবুক ছোড়ার অভিযোগ, রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড ডেরেক ও'ব্রায়েন


এক দিন আগেই বিদেশ থেকে পাম তেল আমদানিতে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করে কেন্দ্র। লাইসেন্স না থাকলেও ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁরা বিদেশ থেকে পাম তেল আমদানি করতে পারবেন বলে ঘোষণা করা হয়। দেশে মুদ্রাস্ফীতি যে পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, তাতে সরকারের এই ঘোষণায় খানিকটা হলেও স্বস্তি পান ব্যবসায়ীরা। আমদানি শুল্ক কমে যাওয়ায় এখন আরও স্বস্তি পেলেন তাঁরা।


ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ বছরই একাধিক বার পরিশোধিত এবং অপরিশোধিত ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক হ্রাস করেছে কেন্দ্র। অগাস্ট মাসে ন্যাশনাল মিশন অন পাম তেলের জন্য ১১ হাজার কোটি  টাকাও বরাদ্দ করে কেন্দ্র। কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানি করা পরিশোধিত পাম তেলের শুল্ক কমিয়ে দেওয়ায়, দেশীয় শোধনাগারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে ব্যবসায়ী মহল।  


বিদেশ থেকে আমদানি করা পাম তেলেই দেশের দুই তৃতীয়াংশ ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ হয়। বিদেশ থেকে যে পরিমাণ ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়, এর মধ্যে ৬০ শতাংশই পাম তেল।