নয়াদিল্লি: হিংসা, বিক্ষোভের অংশ নিয়ে থাকলে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে (Agnipath Scheme Row) নিযুক্তি হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু এই হিংসা, বিক্ষোভে কোচিং সেন্টারগুলিই মদত জুগিয়েছে বলে এ বার অভিযোগ সামনে এল। সেখান থেকেই পড়ুয়াদের বিভ্রান্ত করার কাজ শুরু হয় বলে অভিযোগ করল সেনা। এই উস্কানির কাজে ব্যবহৃত মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp Ban) ৩৫টি গ্রুপকে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। (indian Armed Forces) সেনায় নিয়োগ প্রকল্প নিয়ে ওই অ্যাপগুলি থেকে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। মূলত কোচিং সেন্টারগুলি থেকেই পড়ুয়া এবং চাকরিপ্রার্থীদের উস্কানি জোগানো হয় বলে অভিযোগ সেনার।


অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ


‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো এবং বিভ্রান্তি তৈরির অভিযোগে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ জনের গ্রেফতারির খবর মিলেছে। তথ্য যাচাইয়ের জন্য ফ্যাক্ট চেকেরও ব্যবস্থা করেছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। তার পরই ভুয়ো খবরের উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করে ৩৫টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নিষিদ্ধ করা হল।


সেনায় নিয়োগের স্বল্পমেয়াদি প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে অশান্তি চলছে আসছে দেশের একাধিক রাজ্যে। বিশেষ করে বিহার, উত্তরপ্রদেশদিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে আন্দোলন, বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। ট্রেনে আগুন ধরানো থেকে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর, কিছুই বাদ যায়নি।


আরও পড়ুন: Agnipath Scheme Protest Live: ‘অগ্নিপথবিরোধিতায় কালও বাতিল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন


এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্পে একাধিক রদবদল ঘটানো হয় কেন্দ্রের তরফে। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ২৩ বছর। এ ছাড়াও অসম রাইফেলস-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ‘অগ্নিবীর’দের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও কার হয়। যদিও সেনা জানিয়েছে, বিক্ষোভের জেরে চাপের মুখে পড়ে নয়, আগে থেকেই ছাড় দেওয়ার কথা ভেবে রাখা হয়েছিল। তবে ছাড় দিলেও, প্রকল্প প্রত্যাহারের প্রশ্ন ওঠে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


লাগাতার বিক্ষোভের পর একাধিক পদক্ষেপ কেন্দ্রের


শুধু তাই নয়, বিগত কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায়, যে বা যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, কোনও ভাবেই তাঁদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ করা হবে না বলেও সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। চাকরির আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়ই সেই মর্মে লিখিত দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। জানাতে হবে যে, এই ধরনের কোনও কাজে যুক্ত ছিলেন না তাঁরা। তার পর পুলিশ তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করবে। তাতে সবকিছু ঠিক থাকলে তবেই ওই পরীক্ষার্থীকে নিয়োগের ব্যাপারে এগনো হবে বলে জানানো হয়েছে।