নয়াদিল্লি: দেশের গড় ভ্যাকসিনেশনের চেয়ে বাংলার টিকাকরণের হার কম, দেশে ভ্যাকসিনেশনের হার ৭১ শতাংশ হলেও ৫ রাজ্যে ৬০ শতাংশের কম। রিপোর্ট বলছে, বাংলা-সহ ৫ রাজ্যে ৬০ শতাংশের কম ভ্যাকসিনেশনের হার। করোনার টিকাকরণের হার নিয়ে নীতি আয়োগের মন্তব্য, 'কোথাও টিকার অভাব নেই, বাড়াতে হবে ভ্যাকসিনেশনের হার।'
করোনা থেকে বাঁচতে একমাত্র পথ টিকাকরণ। মৃত্যু এড়াতে প্রথম ডোজে ভাকসিনের কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশের বেশি। দ্বিতীয় ডোজের কার্যকারিতা প্রায় ১০০ শতাংশ। এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল। পাশাপাশি করোনা সতর্কতা মেনে স্কুল খোলার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। তবে স্কুল খুলতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক, পরামর্শ দিয়েছেন কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান।
করোনা ভ্যাকসিন নিলে শরীরে বাড়ছে অ্যান্টিবডি। প্রথম ডোজের কার্যকারিতা থাকছে ৮ থেকে ৯ মাস। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। তবে দ্বিতীয় ডোজ কতদিন কার্যকর, তা বলার সময় এখনও আসেনি বলে মত গবেষক ও চিকিৎসকদের একাংশের।
দেশে উৎসবের মরশুম। কিন্তু করোনার দাপট কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বেড়েছে দৈনিক মৃত্যু। করোনার কবল থেকে মুক্তি পেতে দেশজুড়ে চলছে ভ্যাকসিনেশন। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য এখনও পর্যন্ত ভারতে ৬টি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়েছে। কিন্তু, এটাও দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কতটা কার্যকরী করোনার ভ্যাকসিন? ভ্যাকসিন নিয়ে কতটা লাভ হচ্ছে?
এর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে সমীক্ষা চালিয়েছে Indian Statistical Institute বা ISI.তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের শরীরেই করোনা ভয়াবহ আকার নেয়নি। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশের ক্ষেত্রে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে, বা হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে। বাকি চার শতাংশকে বাঁচানো যায়নি। তবে তাঁদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই কোমরবিডিটি ছিল বলে দাবি করছেন গবেষকরা।
অন্যদিকে, বিশ্বে প্রথম শিশুদের জন্য ম্যালেরিয়া টিকায় ছাড়পত্র দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে যে ভ্যাকসিনে অনুমোদন মিলেছে, তার নাম আরটিএস, এস/এএস জিরো ওয়ান। ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কারকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসাস। WHO-র তরফে জানানো হয়েছে, মূলত আফ্রিকা মহাদেশে শিশুদের মধ্যে মহামারীর চেহারা নিয়েছে ম্যালেরিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, আফ্রিকায় প্রতিবছর পাঁচবছরের নীচে আড়াই লক্ষেরও বেশি শিশুর ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচমাস বয়স থেকে ম্যালেরিয়া টিকার প্রয়োগ শুরু করা যাবে। নিতে হবে চারটি ডোজ। ২০১৯ থেকে ঘানা, কেনিয়া এবং মালাউইয়ের মতো দেশে ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছিল। বছরদুয়েক পর মিলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন।