নয়াদিল্লি : গত ১৬ মার্চ থেকে  গোটা দেশে শুরু হয়েছে  ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ (Vaccination)। কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়, ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের কেবল কোর্বেভ্যাক্সের টিকাই দেওয়া হবে। ২০১০-এর ১৫ মার্চের আগে যারা জন্মেছে, তারা করোনা টিকা দান শুরু হয় এদিন। ২১ মার্চ থেকে রাজ্যে এই বয়সিদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর মঙ্গলবার এল নয়া নির্দেশিকা। চতুর্থ ঢেউ-এর আশঙ্কার মাঝে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল সরকার। 


৬ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনে অনুমোদন দেওয়া হল। জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে ৬ থেকে ১২-বছর বয়সিদেরও। জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই। ভারত বায়োটেকের শিশুদের কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।  শিশুরা ফের স্কুলমুখী হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি শিশুদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা । 


আরও পড়ুন :


আজও আড়াই হাজার ছুঁইছুঁই করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, কাল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক


গত ১৬ মার্চ থেকে কেন্দ্রের  নির্দেশিকা অনুযায়ী,  ষাটোর্ধ্বদেরও প্রিকশন টিকাকরণ শুরু হয়। কো-মর্ডিবিটি নেই, ষাটোর্ধব এমন ব্যক্তিরাও করোনা টিকার প্রিকশন ডোজ নিতে পারছে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৯ মাস বা ৩৯ সপ্তাহ পর এই ডোজ নেওয়া  যাচ্ছে।


সম্প্রতি, IIT কানপুরের গবেষণা বলা হয়েছে, জুনেই তা আছড়ে পড়তে পারে। শিখরে পৌঁছবে অগাস্টে। তাণ্ডব চলতে পারে অক্টোবর পর্যন্ত। গাণিতিক গবেষণার মধ্যে দিয়ে কানপুর আইআইটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০-র ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। সেদিন থেকে ৯৩৬ দিন অর্থাৎ ২ বছর ১০ মাস পর আছড়ে পড়বে চতুর্থ ঢেউ। করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের ক্ষেত্রে আফ্রিকার জিম্বাবোয়ের সঙ্গে ভারতের মিল পাচ্ছেন গবেষকরা। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো প্রাণঘাতী ও সংক্রামক হিসেবে আছড়ে পড়বে চতুর্থ ঢেউ? তৃতীয় ঢেউয়ের মতো ঝড়ের গতিতে ছড়াবে সংক্রমণ? IIT কানপুরের গবেষণায় এই সম্পর্কে তথ্য উঠে না এলেও, রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনেশন, বুস্টার ডোজের উপর পরিস্থিতি অনেকটা নির্ভর করছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আরও বেশি শিশুদের এই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।