নয়া দিল্লি : চিনে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা সংক্রমণ। এর পেছনে রয়েছে ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট BF.7। সেই ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যেই ভারতে প্রবেশ করেছে। সূত্রের খবর, এই ভ্যারিয়েন্টে তিন জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


ভারতে খোঁজ আগেই-


BF.7 ভ্যারিয়েন্টের প্রথম সংক্রমণ দেখা যায় গত অক্টোবরে মাসেই। গুজরাত বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে প্রথম এটি শনাক্ত করা হয়। এখনও পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টে দুই আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে গুজরাতে। একটি কেস পাওয়া গেছে ওড়িশায়। 


এই পরিস্থিতিতে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর নেতৃত্বে রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয় আজ। সেখানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কোনও খবর না পাওয়া গেলেও, যে ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে তার ওপর ক্রমাগত নজরদারি চালানোর প্রয়োজন রয়েছে। 


সূত্রের খবর, চিনের অধিকাংশ শহরে এখন মারাত্মক সংক্রামক ওমিক্রন স্ট্রেইন BF.7-এর থাবা। বেজিংয়েও এই ভ্যারিয়েন্টেরই প্রকোপ দেখা দিয়েছে। চিনের পাশাপাশি এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে ইংল্যান্ড, আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও, যেমন- বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে।


এই পরিস্থিতিতে সতর্ক ভারতও)। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Health Minister) তরফে চিঠি দিয়ে, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ফের মাস্ক বিধি ফিরিয়ে আনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সামনেই বড়দিন এবং নতুন বছর উদযাপন রয়েছে। তার আগেই সতর্ক কেন্দ্র সরকার। 


স্বাস্থ্য সচিবের দেওয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, ভাইরাসের চরিত্র বুঝতে জোর দিতে হবে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে। করোনার কোনও নতুন প্রজাতি এসেছে কিনা, তা খুঁজে বার করতে হবে। বুধবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পাশাপাশি নীতি আয়োগের তরফে ভিকে পল বলেন, "আপনি যদি কোনও জমায়েতে যান তাহলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। তা সে বাইরে হোক বা ভিতরে। কম বয়সি, বেশি বয়সির প্রশ্ন নয়, সকলেই এই নিয়ম মেনে চলুন।" এমনকি প্রিকশন ডোজ নিতেও বলা হচ্ছে সকলকে। নীতি আয়োগের সদস্য বলেন, "এখনও পর্যন্ত ভারতের মোট জনসংখ্যার ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ এই করোনা প্রতিরোধী প্রিকশন ডোজটি নিয়েছেন। এটিকে অতি অবশ্য নেওয়া উচিত সকলের।"


আরও পড়ুন ; ফের বাড়ছে করোনা, বছর শেষের আগেই ফিরছে মাস্ক বিধি!