নয়াদিল্লি: কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে ১০ রাজ্যে বাড়ল করোনার গ্রাফ। দেশের ৪৬টি জেলায় করোনার 'পজিটিভিটি রেট' ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০ শতাংশ। যা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। তড়িঘড়ি করোনা নিয়ন্ত্রণে সতর্কবার্তা জারি করেছে দিল্লি।


শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের মধ্যে কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, অসম, মিজোরাম, মেঘালয়, অন্ধপ্রদেশ ও মণিপুরে ফের বাড়ছে সংক্রমণ। এই রাজ্যগুলিতে হয় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, নতুবা কোভিড পজিটিভিটি রেট বৃদ্ধি হচ্ছে। তৃতীয় ঢেউয়ের আগে এই সংক্রমণ বৃদ্ধির হার স্বস্তি দিচ্ছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রককে।


সেকারণে ১০ শতাংশের ওপর কোভিড পজিটিভিটি রেট রয়েছে এমন জেলায় কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছে সরকার। এইসব জেলায় কনটেইনমেন্ট জোন করার পাশাপাশি কোভিড টিকাকরণে জোর দিতে বলা হয়েছে। ভ্যাকসিনেশনের তালিকায় ৬০ ঊর্ধ্বদের অবিলম্বে টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করতে বলেছে সরকার। এ ছাড়াও ৪৫-৬০ বছরের ব্যক্তিদের তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন দিতে বলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রামাণ্য নথি বলছে, করোনায় ৮০ শতাংশের মৃত্যু এই বয়সের ব্যক্তিদেরই হচ্ছে।


রাজ্যগুলিকে দেওয়া সতর্কবার্তায় কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের ৪৬টি জেলায় ১০ শতাংশের বেশি কোভিড পজিটিভিটি রেট রয়েছে। পাশাপাশি ৫৩ শতাংশ জেলায় পজিটিভিটি রেট রয়েছে ৫-১০ শতাংশের মধ্যে।এইসব জেলায় দ্রুত আরও করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে বলেছে কেন্দ্র। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এই জেলাগুলিতে কোনও ধরনের ঢিলেমি বা অবহেলা হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।


এদিন দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং করে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ছাড়াও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য আধিকারিকরা যোগ দেন। পরে বৈঠকের বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সরকার। যেখানে বলা হয়, যেসব জেলায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ১০ শতাংশের ওপর কোভিড পজিটিভিটি রেট রয়েছে সেখানে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হোক। কোনওভাবেই যেন এইসব জেলায় ভিড় না জমতে পারে, সেদিকে নজর দিক প্রশাসন।


সরকার আরও জানিয়েছে, এই দশ রাজ্যের ৮০ শতাংশ সক্রিয় কোভিড রোগী হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। করোনার চেন ভাঙতে স্থানীয় প্রশাসনকে এই দিকে নজর দিতে হবে।