নয়াদিল্লি: দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তার জেরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লি। মহারাষ্ট্র, কেরল, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ ও পঞ্জাব থেকে রাজধানীতে ঢুকতে গেলে লাগবে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত চালু থাকবে এই নতুন নিয়ম।
দেশে করোনায় বাড়ল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ। সেইসঙ্গে বেড়েছে দৈনিক সুস্থতাও। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৬৭ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ ৩০ হাজার ১৭৬।
এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৭ লক্ষ ২৬ হাজার ৭০২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭৮। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৪২। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৫৮৪।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৭ জন। গতকাল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ২৫৫। দেশে মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ। দেশে সুস্থতার হার ৯৭.২৫ শতাংশ।
এদিকে, দেশে সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও মহারাষ্ট্র, কেরল নিয়ে যাচ্ছে না মাথাব্যথা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান, গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২১০ জন। কেরলে ২ হাজার ২১২ জন।
একদিনে দেশে মোট আক্রান্তের ৭০ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছেন ওই দুই রাজ্যে। কর্ণাটক, তামিলনাড়ুর মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ উঠছে? এই রাজ্যগুলির সঙ্গে রেল, সড়ক ও আকাশপথে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বাংলার। বাংলায় সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে থাকলেও, করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকদের একাংশ।
তাঁদের মতে, মহারাষ্ট্র সহ বেশ কিছু জায়গায় কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে, দক্ষিণ ভারতেও ছড়াচ্ছে, আমাদের এখানেও সংক্রমণ বাড়তে পারে, ইউকে এবং অন্যান্য স্ট্রেন ঘুরে ফিরে আসছে।
হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি গবেষণা করেছে করোনার ৫ হাজার নতুন প্রজাতি নিয়ে। গবেষকদের মতে, করোনার এন৪৪০কে প্রজাতি দক্ষিণ ভারতে ছড়িয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, আগের থেকে বেশি গতিতে ছড়াচ্ছে নতুন এই স্ট্রেন। এই প্রেক্ষিতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর কথা বলছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, চারদিকের তথ্য দেখে মনে হচ্ছে দ্বিতীয় ওয়েভ আসছে, কতটা ভয়াবহ হবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, ভ্যাকসিনেশনের গতি আরও বাড়ানো হোক, স্কটল্যান্ডের রিসার্চে দেখা গেছে, টিকাকরণের গতি বাড়ানোয় ভর্তি হওয়ার পরিমান কমেছে।