নয়াদিল্লি : কাউকে ফোন করলেই বেজে উঠছে সেই কলার টিউন। ব্যারিটোন আওয়াজে অমিতাভ বচ্চন যেখানে করোনা থেকে সতর্ক থাকার বার্তা দিচ্ছেন। পাশাপাশি ভারতীয় ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা রাখার কথাও বলছেন। আর সেই কলার টিউনের প্রসঙ্গ টেনেই কেন্দ্রকে বেনজির ভর্ৎসনা দিল্লি হাইকোর্টের। তাদের পর্যবেক্ষণ, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। অথচ কাউকে ফোন করলেই বিরক্তিকর কলার টিউন শুনতে হচ্ছে।
আজকাল কাউকে ফোন করলেই ভেসে আসে করোনা নিয়ে সতর্কতামূলক ও ভ্যাকসিনে ভরসা রাখার বার্তা দেওয়া কলার টিউন। যা শুনতে শুনতে কথাগুলো কার্যত কণ্ঠস্থ দেশবাসীর। কিন্তু বাস্তবে ভ্যাকসিনের ভাঁড়ে মা ভবানী। গোটা দেশ জুড়ে ভ্যাকসিন-ভোগান্তির খন্ডচিত্র। হাসপাতালরগুলিতে টিকা পাওয়ার আশায় দীর্ঘ লাইন। এই পরিস্থিতিতে একে উদ্বেগ, তারওপর ভ্যাকসিনের জন্য অনন্ত অপেক্ষা। সবমিলিয়ে চরম অস্বস্তিকর অবস্থা।
আর এই নিয়েই একটি মামলার পর্যবেক্ষণের মাঝে কেন্দ্রকে বেনজির ভর্ৎসনা করে দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, কাউকে ফোন করলেই বিরক্তিকর একটা কলার টিউন বেজে উঠছে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন যখন নেই, তখন এসব শুনিয়ে কী হবে। আপনারা মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারছেন না। অথচ বলে চলেছেন, ভ্যাকসিন লাগান। যখন ভ্যাকসিনেশন হচ্ছেই না, তাহলে এই ধরনের বার্তা দেওয়ার মানে কী। আপনাদের উচিত সবাইকে এটা (টিকা) দেওয়া। যদি টাকা নিতে চান, নিন। কিন্তু ভ্যাকসিন দিন। এটা বাচ্চারাও এখন বলছে।
এদিকে গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতিও দিনে দিনে উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। দিনে দিনে বাড়ছে সংক্রমণ, মৃত্যু। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৭২৭ জন। এই সময়পর্বে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১২০ জনের।
করোনার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বিচার ব্যবস্থাতেও। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমন্না বৃহস্পতিবার বলেছেন, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২ হাজার ৭৬৮ জন জুডিশিয়াল অফিসার এবং হাইকোর্টের ১০৬ জন বিচারপতি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। হাইকোর্টের ৩ জন বিচারপতি ও ৩৪ জন জুডিসিয়াল অফিসারের মৃত্যু হয়েছে।