অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, অসম, উত্তরপ্রদেশের পর এবার তেলেঙ্গনা সরকার ঘোষণা করে দিল ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে নিখরচায় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে । এর জন্য  ওই রাজ্যের সরকার ২৫00 কোটি টাকার একটি বাজেট তৈরি করেছে । এতে চার কোটি মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।


যদিও রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াটি একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল দুই জায়গা থেকেই চালানো হবে । ১৮ বছরের বেশি যে কেউ এই ভ্যাকসিন পেতে পারে । রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কো-উইন অথবা আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে ২৮ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনেশনের জন্য নাম রেজিস্টার করা যাবে । তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, শনিবার ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকার এই ভ্যাকসিনেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এবং প্রত্যেকে যাতে ভ্যাকসিন পান সে বিষয়টি নজর রাখবে রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে এবং দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 


তেলেঙ্গনার আগেই উত্তরাখণ্ড অন্ধপ্রদেশ কেরেলা ইতিমধ্যেই সকলকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। 


নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়ে গেলে, ৫ মে থেকে নিখরচায় বাংলার মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পাল্টা বিজেপিও ট্যুইট করে জানিয়েছে, তারা ক্ষমতায় এলেই বিনা পয়সায় সকলকে করোনার ভ্যাকসিন দেবে। 


WB Corona Cases: গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজারেরও বেশি নতুন করে সংক্রমণ রাজ্যে, মৃত ৫৯


 


মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে , তারাও ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে করোনার ভ্যাকসিন নিখরচায় দেবে । মধ্যপ্রদেশ সরকার বুধবার ঘোষণা করে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। এই কর্মসূচি শুরু হবে ১ মে থেকে । বুধবার মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চহ্বান মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানান । ছত্তীসগঢ়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে নিখরচায় করোনার ভ্যাকসিন দেবে রাজ্য সরকার । মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল একথা জানান নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে। এর আগে অসম সরকারও বিনা পয়সায় নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।

গত ১৯ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারবে । সেইসঙ্গে বলা হয় খোলাবাজারে কোভিড ১৯ - এর ভ্যাকসিন রাজ্যগুলি আলাদা করে   কিনতেও পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকে।এতদিন ভ্যাকসিন বণ্টন প্রক্রিয়াটি গোটাটাই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু, এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকার খোলা বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রির সবুজ সঙ্কেত দেয়।