বাঘপত, (উত্তরপ্রদেশ) : কুঁচকে যাওয়া হাতে আর উঠবে না পিস্তল। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে শুক্রবার দিকশূন্যপুরে পাড়ি দিলেন চান্দ্রো তোমর। যিনি গোটা দেশবাসীর কাছে পরিচিত শুটার দাদি হিসেবে। ৮৯ বছরের চান্দ্রো তোমরকে গোটা বিশ্ব চেনে বিশ্বের সবথেকে বেশি বয়সী শুটার বলে। একাধিক জাতীয় পর্যায়ের শুটিং প্রতিযোগিতাও জিতেছেন তিনি।


'বুলস আই' সিনেমার মাধ্যমে সবাই প্রথম চিনেছিল শুটার দাদিকে। চান্দ্রো ও তাঁর বোন প্রকাশি তোমর সবথেকে বেশি বয়সের শুটার হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন শুটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্যই প্রখ্যাত ছিলেন। তাদের ঝুলিতে ওঠা একাধিক খেতাবের সুবাদেই বলিউডেও আলাদা করেও শুটিং দাদিকে নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়। তাপসী পান্নু ও ভূমি পেডনেকরের অভিনীত সান্ডা কী আঁখ সিনেমাটি চান্দ্রো ও তাঁর বোনের জীবনের গল্প নিয়েই।


কয়েকদিন আগেই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছিলেন শুটার দাদি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ভর্তি করতে হয়েছিল হাসপাতালে। তবে মারণ ভাইরাসের জেরে ব্রেন হ্যামারেজ হয়ে শুক্রবার মেরট মেডিকেল কলেজে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী শোকপ্রকাশ করেছেন শুটার দাদির মৃত্যুতে। তিনি সশরীরে না থাকলেও যেভাবে বয়সে তুড়ি মেরে বন্দুক হাতে তুলে নিয়ে একের পর এক রেকর্ড চান্দ্রো তোমর গড়েছিলেন, তাতে গোটা দেশ তাঁকে অনুপ্রেরণা হিসেবেই স্মরণ করবে বলেই মত তাঁর।


শুটার দাদির ছেলে বিনোদ তোমর জানিয়েছেন, সোমবার থেকে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। যার পর করোনার পরীক্ষা করে দেখা যায় রিপোর্ট পজিটিভ। তারপরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চান্দ্রো তোমর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বাঘপত ও দেশের শুটিং মহল থেকে দ্রুত শুটার দাদি আরোগ্য দ্রুত সুস্থতার প্রার্থনা চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শুটার দাদির প্রয়াণে গোটা দেশের শুটিংমহলে প্রবল শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  


গোটা দেশেই এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। এই মুহূ্র্তে গোটা দেশের দৈনিক সংক্রমণ রোজই প্রায় লাখ চারেকের কাছাকাছি। প্রতিদিনই হাজার-হাজার ভারতীয়কে হারাতে হচ্ছে আমাদের।