দেহরাদুন: হঠাৎই উত্তরাখণ্ডে করোনা সংক্রমণ বাড়ল হুড়মুড়িয়ে। অ্যাক্টিভ কেসের এমন মারাত্মক বৃদ্ধি চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে সে রাজ্যে। ২৫ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৯৪ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সংক্রমণে রাশ ছিল। কেন্দ্রীয় সাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে আচমকাই এই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে। 


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল জুলাইয়ের শেষ এবং অগাস্টের মাঝ মাস থেকেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ভারতে। কেরল, মহারাষ্ট্রের পর উত্তরাখণ্ডে যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা তা করোনার 'থার্ড ওয়েভের' সূচনাকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। 


পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৭১ তম শহরে উত্তরাখণ্ডে অ্যাক্টিভ কেস ছিল ২৪০। ৭২ তম সপ্তাহে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৪৬৬ হয়ে গিয়েছে। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে ১০ রাজ্যে বাড়ল করোনার গ্রাফ। দেশের ৪৬টি জেলায় করোনার 'পজিটিভিটি রেট' ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০ শতাংশ। যা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। 


শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, দেশের মধ্যে কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, অসম, মিজোরাম, মেঘালয়, অন্ধপ্রদেশ ও মণিপুরে ফের বাড়ছে সংক্রমণ। এই রাজ্যগুলিতে হয় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, নতুবা কোভিড পজিটিভিটি রেট বৃদ্ধি হচ্ছে।  সেকারণে ১০ শতাংশের ওপর কোভিড পজিটিভিটি রেট রয়েছে এমন জেলায় কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছে সরকার।


ওনামের প্রাক্কালে কেরলে বাড়ল সংক্রমণ। সম্প্রতি কেরলে দৈনিক সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান রয়েছে তা দেশের সব রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ।টানা পাঁচ দিন ধরে কেরলে দৈনিক কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের ওপরে রয়েছে। কেরলের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সপ্তাহান্তে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে কেরল সরকার।সে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় দল। 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।  একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৩৪।  গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৬ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৭৩ জনের।